নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা গ্রামে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৭ জন আহত হয়েছে। গত বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫ ঘটিকায় বাউসা গ্রামের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় রঙ্গু মিয়া (৩৯), এরশাদ আলী (৩৫) কে সিলেট এম এ জি উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।আহতরা হলেন, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা গ্রামের মৃত রহমত আলীর পুত্র রঙ্গু মিয়া (৩৯), মৃত মর্তুজ আলীর পুত্র এরশাদ আলী (৩৫), আব্দুস সালামের পুত্র সোফায়েল মিয়া (২৫), মৃত রহমত আলীর পুত্র আরজু মিয়া(৩৫), ও সুজন মিয়া(৩২), মৃত আব্দুল বারিক এর পুত্র মজন আলী (৩৬), কবির মিয়ার পুত্র ছাব্বির মিয়া (৩৫)।
অভিযুক্তরা হলেন , উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা গ্রামের মৃত শাহ লাল মিয়ার পুত্র শাহ মাসুক আলী, শাহ ছালিক মিয়ার পুত্র শাহ জুবেল মিয়া, মৃত শাহ নুর মিয়ার পুত্র শাহ লিপন মিয়া ও শাহ লিংকন মিয়া, মৃত খুর্শেদ আলীর পুত্র শাহ মাহিদ মিয়া গংরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা গ্রামের ফুল মিয়ার পরিবারের সঙ্গে একই গ্রামের শাহ মাসুক আলীর পরিবারের বিরোধ চলছে। গত বুধবার বিকালে দুই পক্ষের লোক জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ হয়। পরে আহতদের স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। এবং ২ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত আরজু মিয়া বলেন, শাহ ছালিক মিয়া ভিন্ন গ্রাম থেকে লোক এনে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছেন। নবীগঞ্জের সালামতপুর গ্রামের ছাত্রলীগের নেতা মুসা সহ একাধিক মানুষ এনে হামলা চালায় এতে আমরা আহত হয়েছি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে ফুল মিয়া বলেন, জায়গা- জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর শাহ মাসুক আলী সহ তার লোকজন রামদা, দা, সুলফি, লোহার রড, লাঠি, ইট পাটকেল ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্র নিয়া হামলা চায় এতে আমাদের ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এছাড়াও আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকাল ০৫ ঘটিকায় নবীগঞ্জ শহরের গাজীরটেক এর পাশে রাজা কমপ্লেক্স সামনে এজলু মিয়ার উপর শাহ মাসুক মিয়ার লোকজন হামলা চালায় বলে জানা যায়। এজলু মিয়া বাউসা ইউনিয়নের সালাহ উদ্দিন মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দুই পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply