বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ বানিয়াচংয়ে ১নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের অন্তর্গত মজলিশপুর গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ২ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকাল ৪টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বানিয়াচং থানা পুলিশ ও স্থানীয় আলেম উলামাদের হস্তক্ষেপে পরিস্তিতি শান্ত হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার জুময়ার নামাজ শেষে মসজিদে লাউ নিলাম দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাহেদ আলী গ্রুপের রুয়েল মিয়া (৩৫) ও মনসুর মেম্বার গ্রুপের আব্দুল আহাদ (৩৬) এর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে রাতে শাহেদ আলী গ্রুপের নূর মাম্মদ (৬৫) ও জালাল উদ্দিন (৭০) কে মনসুর মেম্বার গ্রুপের লোকজন কুপিয়ে আহত করে। এতে গুরুতর আহত নূর মাম্মদকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই মজলিশপুর গ্রামে টান টান উত্তেজনা বিরাজ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র মজুদ করতে থাকে উভয়পক্ষের লোকজন।
বিকাল ৪টায় শাহেদ আলী গ্রুপ ও মনসুর মেম্বারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে সংঘর্ষ চলে দেড় ঘন্টাব্যাপি। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কবির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ, মজলিশপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা ইমদাদুর রহমানের নেতৃতে একদল আলেম উলামা ও পঞ্চায়েত ব্যক্তিদের নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এর মধ্যে মনসুর মেম্বার গ্রুপের ইদু মিয়া (৫৫) ও শাহেদ আলী গ্রুপের মেহেদী হাসান (১৭) কে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতরা উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টায়) পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
Leave a Reply