স্টাফ রিপোর্টার ॥ যানজটের শহর হবিগঞ্জ। নিত্যদিনের এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে অসহায় শহরবাসী। অগণিত টমটম, ব্যাটারী চালিত রিক্সা, মিনি ট্রাক, ভ্যান এমনকি মোটর বাইক এলোমেলোভাবে রাখা এখন যেন নিয়মে পরিণত হয়েগেছে। শহরের প্রধান সড়কের সাথে সংযুক্ত সড়কগুলোর সংযোগস্থলে যানজট অসহনীয় হয়ে উঠছে। উপরন্তু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহের সামনে সিএনজি অটো রিক্সা, কার দাঁড় করে কেনাকাটা ইত্যকার ঘটনায় যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার ঢাকা-সিলেট থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ হবিগঞ্জের বিভিন্ন ক্লিনিক- হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে আসেন। এতে গ্রাম-গ্রামান্তর থেকে অসংখ্য রোগী সাধারণের এই জেলা শহরে আগমন ঘটে। প্রাইভেট গাড়ী, সিএনজি নিয়ে আসা এসব যানবাহন যানজটের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। হবিগঞ্জ পৌরসভার লাইসেন্সপ্রাপ্ত টমটম ছাড়াও অনুনোমদিত টমটমের সংখ্যা দ্বিগুণ-তিনগুণ। এসব নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ বা পৌরসভার উদাসীনতা এবং কোন স্বেচ্ছাসেবক না থাকায় যানজট দিন দিন বাড়ছে। ব্যবসায়ীগণ ও কেনাবেচায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। যানজটের এই দূর্ভোগ আর অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে শহরবাসী পরিত্রাণের জন্য জেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ভূক্তভোগী শহরবাসী জোর দাবি জানান।
বিশেষ করে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যথা সময়ে পোঁছাও দুস্কর হয়ে পড়ে। অসুস্থ বা গর্ভবতী কোন মাকে যথাসময়ে হাসপাতালে নেয়াও অসম্ভব হয়ে পড়ে।
শহরবাসীর অসহনীয় এহেন দূর্ভোগ লাগবে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও পৌর কর্তৃপক্ষ সরাসরি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর যৌথ উদ্যোগ এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব বলে ভুক্তভোগী শহরবাসীর অভিমত।
শহরে অনেক বিপনী বিতান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও কোন ভবন মালিকই গাড়ী পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখেনি। কারো কারো মতে ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, ক্লিনিক, হাসপাতাল গুলো শহরের বাইরে (বাইপাস সড়কে) নেয়া হলে শহরের যানজট অনেকাংশেই নিরসন হবে এমন দাবিও অনেকের। এছাড়া অনেকেই ভবন নির্মাণের জন্য ইট বালি, পাথর প্রধান সড়কে রাখায় ও যানজট বৃদ্ধি পায়। কোন কোন সময় মালবাহী ট্রাক, কার্গো ও সকাল ৯ থেকে রাত ৮টার মধ্যে শহরে প্রবেশ করে মালামাল লোড আনলোড করতে দেখা যায়। সবগুলো বিষয় মাথায় রেখে যানজট নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে সুফল অর্জন সম্ভব হতে পারে বলে অনেকেই মনে করেন। বিষয়টি প্রশাসনের আশু দৃষ্টি কামনা করছেন ভুক্তভোগী শহরবাসী।
Leave a Reply