স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর তেঘরিয়া বড় বাড়ি থেকে মুন্নি আক্তার (১৫) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়। সে ওই গ্রামের আওয়াল মিয়ার কন্যা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শহিদুল হক মুন্সি, সদর থানার ওসি আলমগীর কবির, ওসি (তদন্ত) সজল সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। পরিবার সূত্র জানায়, একই এলাকার সিদ্দিক সর্দার, জামাল মিয়া, দুলাল মিয়া ও নুর মিয়া গং দের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলছিল। সম্প্রতি আওয়াল মিয়া ও তার ছেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকায় তারা বাড়িতে থাকে না। গতকাল সকালে সিদ্দিক মিয়া গংরা তাদের বাড়ির পাশে ঘুরাঘুরি করে। তাদের ধারণা, হয়তো পিতা পুত্রকে পুলিশের ধরিয়ে দিতে সিদ্দিক মিয়া গংরা বাড়ির পাশে ঘুরছে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে হাওরে চলে যান। বাড়ির পাশে আওয়াল মিয়ার পুত্রবধূ পাতা কুড়াতে যায়। সে সময় সে সিদ্দিক মিয়া গংদের তাড়াহুড়া করে ঘর থেকে বের হতে দেখে। এ সময় ঘরে গিয়ে সে দেখতে পায় মুন্নির লাশ ফ্যানে ঝুলছে। পরে চিৎকার শুরু করলে লোকজন এর সহায়তায় লাশ নামিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে সদর ওসি আলমগীর কবির বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ হত্যা। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
Leave a Reply