শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাকাইলছেও- রসুলপুর সড়ক বর্ষা মৌসুমে  চলাচলে চরম দুর্ভোগ মালয়েশিয়ায় আজমিরীগঞ্জের প্রবাসী মহিবুরের মৃত্যু শোকার্ত পরিবার সাবেক এমপি মজিদ খানের পুকুরপাড়ে বজ্রনিরোধক যন্ত্র শেখ হাসিনা ও মাহবুব আলীসহ ৫ জনের বিরোদ্ধে মামলার প্রস্তুতি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হবিগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে পুলিশের ভুমিকা মাধবপুরে ৫২ মাদক কারবারি গ্রেফতার॥ মূলহোতারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে মাধবপুরের আজহার কিশোরগঞ্জে ৪০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩ হবিগঞ্জে সরকারী কলেজ শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা জেলা কমিটি গঠন মাদক, বাল্য বিবাহ ও ইন্টানেটে আসক্তি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের শপথ
শাহ এএমএস কিবরিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী আজ

শাহ এএমএস কিবরিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব শাহ এএমএস কিবরিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৫ সালের ওই দিনে তিনি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন। ওই হামলায় তিনি ছাড়াও তার ভাতুষ্পুত্র মঞ্জুরুল হুদাসহ আরো ৫ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন ৭০ জন। উল্লেখ্য, এস এ এম এস কিবরিয়া ১ মে ১৯৩১ তারিখে বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার জালালসাপ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা শাহ ইমতিয়াজ আলী শিক্ষাবিদ ছিলেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ঐ বৎসরেই বাংলা ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান পুলিশ কর্তৃক তিনি গ্রেফতার হন এবং অল্পকিছুদিন পরেই মুক্তি পান। ১৯৫৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের পর পাকিস্তান সরকারের সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে পাকিস্তানে বৈদেশিক বিভাগে যোগদান করেন। কিবরিয়া আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে ফ্লেচার স্কুল অব ল এবং যুক্তরাজ্যের লণ্ডনে ব্রিটিশ ফরেন অফিসে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। শাহ এ এম এস কিবরিয়া পাকিস্তানের কূটনৈতিক মিশনের সদস্য হিসেবে কলকাতা, কায়রো, জাতিসংঘ মিশন, নিউইয়র্ক, তেহরান এবং জাকার্তায় নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে পাকিস্তান দূতাবাসে নিযুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শাহ কিবরিয়া ওয়াশিংটন ডি.সি.-তে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে চাকুরীরত ছিলেন। পাক দূতাবাসে কর্মরত অবস্থায় ৪ আগস্ট, ১৯৭১ তারিখে তিনি ও তার বাঙ্গালী সহকর্মীবৃন্দ দূতাবাস ত্যাগ করে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতি আনুগত্য দেখান। পরে তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন তদারকী করাসহ বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনে প্রভূত সহায়তা করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর শাহ এ এম এস কিবরিয়া ঢাকায় নবপ্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন রাজনৈতিক বিষয়ক বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এছাড়াও, তিনি সচিব হিসেবে প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকার তাকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ফিজিতে হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করে। ১৯৭৬ সালে তিনি জেনেভায় জাতিসংঘের ইউরোপীয় কার্যালয়ের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৭৮ সালে বৈদেশিক সচিব হিসেবে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ১৯৭৯ সালে ৭৭-জাতি গ্রুপের প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে ম্যানিলায় আংকটাডের সভায় নির্বাচিত হন তিনি। মে ১৯৮১ থেকে মার্চ ১৯৯২ পর্যন্ত সময়কালে কিবরিয়া এসকাপের নির্বাহী সচিবের পদে অধিষ্ঠিত হন। এছাড়াও, ১৯৮৬ সালে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধি হিসেবে কম্বোডিয়ায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com