স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ মিলনায়তনের সীমানা প্রাচীরের ভেতরের গাছ কাটার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দু’দিনের মাথায় ফের হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজের সীমানার ভেতরে দিনভর চলল গাছ কাটার উৎসব। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল থেকে সার্কিট হাউজের ভেতরে বেশ অনেকগুলো ছোট-বড় গাছ নির্বিচারে কাটা হয়েছে। পরপর দু’দিনে শহরের গুরুত্বপূর্ণ দুটি স্থানে এভাবে গাছ কাটার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশ সচেতন মহল ।
স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, এভাবে গাছ কাটার ফলে শহরের সবুজ আচ্ছাদন ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। তাদের আশঙ্কা, এভাবে নির্বিচারে গাছ কাটা চলতে থাকলে হবিগঞ্জের পরিবেশের উপর মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসবে।
জেলা পরিষদ মিলনায়তন এবং সার্কিট হাউজের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনার ভেতরে এভাবে গাছ কাটার ঘটনায় সাধারণ মানুষ হতবাক। তারা মনে করছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার কথা বিবেচনা করে কর্তৃপরে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত। ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) জেলা শাখার আহ্বায়ক তাহমিনা বেগম গিনি বলেন, আমরা গতকাল জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের পাশের পাছ কাটার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি নিয়ে গিয়েছিলাম। জেলা প্রশাসক আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, যেগুলো কাটা হয়ে গিয়েছে, সেগুলো গিয়েছে, আর গাছ কাটা হবে না। অথচ আজ সার্কিট হাউজের পাশের অনেকগুলো গাছ কাটা হলো। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও গাছ কাটা বন্ধের দাবি জানাই”
সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন, হবিগঞ্জের সভাপতি পীযূষ চক্রবর্তী বলেন, “পরপর এভাবে গাছ কাটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একদিকে আমরা বৃক্ষরোপণের কথা বলছি, অন্যদিকে সরকারি ভবনের ভেতরেই গাছ নিধন চলছে। এর ফলস্বরূপ শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে এবং জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে।”
স্থানীয় সচেতন মহল অবিলম্বে এই গাছ কাটার কারণ জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে পদপে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ মিলনায়তনের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে বেশ কিছু গাছ কাটা হয়, যা নিয়ে স্থানীয়ভাবে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছিল। দু’দিনের ব্যবধানে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি শহরের পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করলো।
Leave a Reply