মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ আওয়ামীলীগ সরকারে সাবেক প্রতি মন্ত্রী এড. মোঃ মাহবুব আলীর ভাই ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি, চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সাথে সমঝোতা করে। ছাত্রদলের ব্যানরে বিক্ষোভ মিছিল করার অভিযোগ ওঠেছে সাব্বির হোসেন বকুল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার সকালে মাধবপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে থানার গেইট পর্যন্ত গিয়েছিল। উপজেলা ছাত্রদল ও পৌর ছাত্রদলের নামে ব্যনার করে আওয়ামীলীগ মতাদর্শী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের গ্রেফতারের দাবীতে ওই মিছিলটি করা হয়। মিছিলের ব্যবহৃত ব্যনারে স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হওয়ায় ফারুক আহমেদ পারুল,, সাহাবউদ্দিন এবং মাসুদ খাঁনের ছবিসহ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলাউদ্দিনের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্ত আ’লীগ সরকারের সাবেক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এড. মোঃ মাহবুব আলীর ভাই, ইউ/পি আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ৮নং বুল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের ছবি ব্যবহার করা হয়নি। তাকে গ্রেফতারের কোন দাবীও ওঠেনি ওই মিছিল শেষে আলোচনা সভায়। এ নিয়ে শহীদ জিয়ার’র আর্দশের লোকজনসহ মাধবপুর বাসীর মাঝে চলছে সমালোচন। উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন কর্মসূচি বিহীন মিছিল ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। এরকম কর্মকাণ্ড যেকোন রাজনৈতিক দলের চেইনঅব কমান্ড নষ্ট করার উপক্রম। এ বিষয়ে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ রিপন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই বিক্ষোভ মিছিল কোন দলীয় কর্মসূচি না, পৌর ছাত্রদল এ বিষয়ে কিছুই জানেনা। ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য দলীয় ব্যনার ব্যবহার করা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। দলীয় চেইনঅব কমান্ড ভঙ্গ করার অংশ। হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন বলেন, দলীয় কোন কর্মসূচি হলে প্যাডে নির্দেশনা আসবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারে নির্দেশে প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা ভালো মনে তা করবে, সেক্ষেত্রে আমাদের চাপ প্রয়োগ করার কোন সুযোগ নাই। কেউ যদি ব্যক্তিগত ভাবে কোন কিছু করে তাহলে সম্পূর্ণ তার নিজস্ব। দলীয় দয়ভার নাই।
Leave a Reply