বাহুবল প্রতিনিধি ॥ পবিত্র ঈদুল আজহা সমাগত। দিন যত পার হচ্ছে ততই জমে উঠছে কোরবানি পশু কেনা-বেচা। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে পশু কোরবানি দেবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বাহুবল উপজেলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ৫ হাজার ৩৮ টি গবাদি পশু। যার মধ্যে গরু ৩ হাজার ৬১৫টি, মহিষ ৪৮টি, ছাগল ১ হাজার ২৫৫টি এবং ভেড়া ১১৭টি। এসব গবাদি পশুর গড় বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। উপজেলার মোট চাহিদা ৩ হাজার ৩০০টি হলেও অতিরিক্ত প্রস্তুত রয়েছে আরও ১৭৩৮টি পশু। ফলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব পশু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস। ঈদুল আজহাকে ঘিরে ইতোমধ্যে বাহুবল উপজেলার হাট-বাজরগুলোতে বিক্রির জন্য উঠতে শুরু করেছে গবাদি পশু। দিন যত যাচ্ছে, ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন বাহুবল উপজেলার পশু খামারিরা। নিজেদের লালন-পালন করা পোষা গবাদি পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। যার মধ্যে রয়েছে দেশী-বিদেশী জাতের বিভিন্ন প্রজাতির পশু। ইতোমধ্যে অনেক খামারি নিজেদের গবাদি পশু বিক্রির জন্য বাজারে তোলা শুরু করেছেন। ঘাস-খড়-ভুসি এবং দানাদার খাদ্য খাইয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে এসব গবাদি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন তারা। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা গরু-ছাগল বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন। এ বিষয়ে বাহুবল উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. মো. আলী আকবর বলেন, আমরা বছরের বিভিন্ন সময় উপজেলার খামারি ও গবাদি পশু লালন-পালনকারীদের প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকছি। তবে কোরবানিকে সামনে রেখে কোনো খামারি যেন কৃত্রিমভাবে গবাদি পশুকে মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি অবলম্বন করতে না পারে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। এ ছাড়া কোরবানি পর্যন্ত আমাদের ভেটেরিনারি মেডিকেল ৫টি টিম উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে নিয়মিত তদারকি করবে।