স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি স্বীয় কীর্তিতে অমর ইতিহাসের মহানায়ক। শহীদ জিয়া আধুনিক ও স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্থপতি। তিনি গত শুক্রবার বাদ মাগরিব শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন। সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- জিয়াউর রহমানের সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। দেশে ঐক্যের রাজনীতি চালু করে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করে বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। অল্প সময়ের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে জিয়া বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন এবং তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে দেশ-জাতিকে মুক্ত করেন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস জোগান।
তিনি বলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অত্যন্ত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতা। তিনি এই প্রজন্মের চিন্তা চেতনাকে ধারণ করেন লালন করেন। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখান না, তিনি স্বপ্ন বাস্তবায়নের কারিগর। বিএনপির ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন রয়েছে। মাত্র ৩টি সংগঠনকে সুযোগ দিয়েছিলেন তারুণ্যকে ঢাকায় নেয়ার জন্য। ঢাকায় তারুণ্যের উপস্থিতি দেখে অনেকের হিসাব নিকাশ পাল্টে গেছে। যদি দাবী আদায়ের ডাক আসে তাহলে আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। আমরা রাজপথে ছিলাম দেশের প্রয়োজনে গণতন্ত্রের প্রয়োজনে। আমরাই সবচেয়ে বেশি রক্ত দিয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বিএনপির এমন কোনো নেতা নেই যার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা ছিল না। আমরা মাসের পর মাস বছরের পর বছর জেল কেটেছি। কিন্তু হাসিনার কোনো ভয় আমাদেরকে কাবু করতে পারে নাই। জি কে গউছ বলেন- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করে কেউ সফল হয়নি। এখনও যারা চেষ্টা করছেন, বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের চক্রান্ত ষড়যন্ত্র সফল হতে দিবে না। সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান কাজলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামছুল ইসলাম মতিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আজম উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আফজাল হোসেন ও হাবিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী শামছু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মানিক, জালাল আহমেদ, সফিকুর রহমান সিতু, হাজী জুলমত মিয়া, ফরিদ মিয়া, শিপন আহমেদ আছকির, হাজী মতিন, হাফেজ শেখ উসমান গণি, মোস্তফা মিয়া, হাফিজ খান, এডভোকেট ইলিয়াছ আহমেদ, মজনু তালুকদার, শাহিনুর রহমান শাহিন, কামাল চৌধুরী, জিল্লুর রহমান জিলু, অলিউর রহমান, আব্দুল আহাদ, ইদ্রিছ মিয়া, আব্দুল জলিল, আবুল মিয়া, বেনু মিয়া, শাহ আলম, হারুন মিয়া, আক্কাস মিয়া, জহিরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ হিল কাফি, নাজমুল হোসেন অনি, সফিকুর রহমান, এমরান আহমেদ, আল আমিন মিয়া, আফরোজ মিয়া, আরিফুল ইসলাম আরজত, মখলিছুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম, শাহজাহান মাহমুদ, দরস আলী, মোতব্বির হোসেন, আরব আলী, শাহিন মিয়া, আশরাফুল ইসলাম জুম্মন, হাজী জব্বার খান, আব্দুল মন্নাফ, ফরিদ আহমেদ, শাহিন জাহান, আলাউদ্দিন, খোকন শাহী ধনু, সোয়েব মাস্টার, বাসিত সেলিম, আব্দুল হান্নান, ইলিয়াছ মিয়া, আবু তাহির, কাজল মিয়া, তোতা মিয়া, জামাল মিয়া প্রমুখ।
Leave a Reply