স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মিছিলে গুলি করার ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন আহত মো. মোশাহিদ। আন্দোলনে গুলি করা যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য শাহ নেওয়াজকে প্রধান আসামি করে ৫৬ জনের নামে এ মামলাটি দায়ের করেন। উক্ত মামলায় আরও ২শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীরা একদফা দাবিতে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি তিনকোণা পুকুরপাড় এলাকায় পৌঁছলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের মিছিল লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন।
গুলিতে রিপন শীল নামে একজন আন্দোলনকারী নিহত হন। গুলিবিদ্ধসহ বিভিন্ন অস্ত্রের আঘাতে আহত হন আরও শতাধিক। উক্ত ঘটনায় আহত মো. মোশাহিদ (২৬) মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে একই ঘটনায় নিহত রিপন শীলের মা বাদী হয়ে সাবেক এমপি মো. আবু জাহিরকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন- মন্দরী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামছুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাঈদুর রহমান, মক্রমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আহাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারী মস্তোফা কামাল আজাদ রাসেল, ছাত্রলীগের সেক্রেটারী ফয়জুর রহমান রবিন, মাহফুজ মিয়া, আশিক মিয়া, আশরাফ আহমেদ হারুন, মিজানুর রহমান আরিফ, মোস্তাচ্ছিরুল ইসলাম মুফতি, যুবলীগ নেতা শাহ জালাল উদ্দিন জুয়েল, তারেক মাহমুদ, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, বাদল মিয়া, সবুজ মিয়া, সাখাওয়াত হোসেন সিতু, আব্দুর রউফ, শাহরিয়ার সাদমান, আজিমুল হক জনি, লিটন মিয়া, কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম চৌধুরী, জাকির হোসেন, মুর্শেদ, সোহেল আরমান, তজমুল হক চৌধুরী, আশরাফুল আলম ইমন, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মর্ত্তুজা হাসান, আব্দুল হামিদ, হারিছ মিয়া, যুবলীগ নেতা মহসীন মিয়া, সানওয়ার রহমান, শাহ আলম, মাছুলিয়া এলাকার ইকবাল হোসেন খান, ছন্দু মিয়া, রতন রায়, শেখ হাবিবুল হক, কাউন্সিলর গৌতম কুমার রায়, ইমতিয়াজ শাওন, সোহেল মিয়া, আবুল কাশেম রুবেল, কাউছার মিয়া, রোপন মিয়া, সাগর মিয়া, বেলাল আহমেদ তালুকদার, ইমরান খান তরুন, ইমান আলী ওয়াশিম, সারাজ মিয়া, আব্দুল আওয়াল তরফদার, নুরুল আমীন, শামীম মিয়া, মাহরাজ মিয়া, আলাউর রহমান সাহেদ, বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের তারা মিয়া, সুমেশ দাস, আব্দুল হাইসহ অজ্ঞাত ১৫০-২০০ জন।হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরুল আলম জানান, মামলা রুজু করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামীদের ধরতে পুলিশের সাড়াষি অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply