চুনারুঘাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা পলাতক থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের সেবা থেকে বঞ্চিত প্রায় দুই লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ। চুনারুঘাট উপজেলার দশটি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ছয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যথাক্রমে ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন জাকির হোসেন পলাশ, ৩নং দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদের রুমন ফরাজী, ৪নং পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ওয়াহিদ আলী মাষ্টার, ৮নং সাটিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের আব্দালুর রহমান, ৯নং রানীগাও ইউনিয়ন পরিষদের মোস্তাফিজুর রহমান ও ১০নং মিরাশি ইউনিয়ন পরিষদের মানিক সরকার মামলার কারনে পলাতক রয়েছেন।
এই সকল ইউনিয়নের সাধারণ মানুষর সেবা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানাযায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগে চুনারুঘাটের উপরোক্ত ছয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ  ৯৮ জন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নাম উল্লেখ করে চুনারুঘাট থানায়  একটি এজাহার দাখিল করেন চুনারুঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন  মামলাটি রুজ হওয়ায় পলাতক রয়েছেন তারা।
ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী আব্দুল কদ্দুস জানান, কয়েক দিন যাবত আমার ছেলের জন্ম নিবন্ধনে চেয়ারম্যান সাহেবের স্বাক্ষর নিতে আসা যাওয়ার মধ্যেই আছি। কিন্তু চেয়ারম্যান কে পাচ্ছি না। রানীগাও ইউনিয়নের সেবা নিতে আসা কালেঙ্গা এলাকার  শরীফ উদ্দিন বলেন আমি আমার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য একটি প্রত্যয়নের জন্য এসেছিলাম কিন্তু ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার এসে দূর থেকে এসো ও চেয়ারম্যান না থাকায় প্রত্যয়নটি পাইনি।
রানীগাও ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কাছুম আলী জানান,বিগত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান রিপন নিয়মিত  অফিস করছেন না যে কারণে আমরাও বিভিন্ন সময় ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কাজে সমস্যায় পরছি। এসব বিষয়ে পলাতক থাকা কয়েকজন চেয়ারম্যান এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,এই বিষয়টা আমি জেনেছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে পরবর্তী করনীয় ঠিক করা হবে।
উল্লেখ্য ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ ও ৩নং দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুমন ফরাজি স্বতন্ত্র ও বাকি চারটি  ইউনিয়নের পরিষদের  চেয়ারম্যানরা নৌকা মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।