নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ গাজীপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার নির্মল চন্দ্র দেবের মানব পাচার ও চোরাচালান কর্মকান্ড এখনও থেমে নেই। সিঙ্গী ছড়া ও বাছাই বাড়ি ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন প্রকার মাদক ও চোরাই পণ্য আনা এখন ও চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নির্মলের এই অবৈধ মাদক ও চোরাচালান এবং ভারতে মানব পাচারের একটি সংঘবদ্ধ চক্র আছে বলে এলাকাবাসী জানান।
নির্মলের উত্থান ঃ রেমা চা বাগানে পল্লী চিকিৎসক হয়ে প্রবেশ করে টিলা বাবু থেকে সহকারী ম্যানেজারের পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন। তার এতই দাপট ছিল যে, রেমা চা বাগানের আইন উপদেষ্টা প্রখ্যাত আইনজীবি সর্বজন শ্রদ্বেয় মরহুম আবুল খায়ের এ্যাডভোকেট সাহেবের সাথে ও টেক্কা দিয়েছিলেন। নির্মল দেবের চোরাই পথে চা, চা বাগানের বৃক্ষরাজি পাচার বাগান মালিক মন্জুর রহমানের গোচরীভুত হলে তিনি নির্মলকে বাগান থেকে তাড়িয়ে দেন। তার পর ও নির্মল বাগানের মোহ কাটাতে পারেননি। রেমা চা বাগান ভারতীয় সীমান্ত এলাকা এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চল বেষ্টিত হওয়ায় নির্মল দেব ভারতীয় সীমান্তের ওপার থেকে মাদক, চিনি সহ নিষিদ্ধ পণ্যের ব্যবসার পাশাপাশি চা বাগান ও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ পাচারে মেতে উঠেন। তিনি একটি সংঘবদ্ধ গাছ পাচারকারী দলের প্রধান। রেমা চা বাগানে প্রবেশের পর গরীব সুবোদ দেবের পুত্র এখন কোটি কোটি টাকার সম্পদ দেশে এবং ভারতে করেছেন। এতে সহায়ক হয়েছে বিগত সরকারের ১৫ বছর এক নাগাড়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার কারনে। আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটির একজন যুগ্ম সম্পাদক হলেও তার ক্ষমতার দাপট ছিল উপজেলা ও জেলা সভাপতির মত। আওয়ামীলীগের মন্ত্রী এমপি ও নেতাদের ঘনিষ্টতার সুযোগ নিয়ে চা বাগান সহ সীমান্ত এলাকায় ভিন্ন মুখি অপরাধের স¦র্গ রাজ্য গড়ে তুলে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।শুধু আওয়ামীলীগের মন্ত্রী এমপি নয়, বিজিবি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে ছিল দহরম মহরম। আওয়ামী সরকারের পতনের পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন নির্মল চন্দ্র দেব।কখন আবার রাজনৈতিক ডিগবাজী দিয়ে রং পাল্টাবেন এমন কথাও এলাকায় চাউর হচ্ছে। নির্মল দেবের চোরাকারবার, মাদক,মানব পাচার ও গাছ পাচারের বিষয়ে তদন্ত শুরু হলে তিনি যে কোন সময় ভারতেও চলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। রেমা চা বাগান মালিক যদি নির্মল চন্দ্র দেব কে বাগান থেকে বের না করতেন তাহলে বাগান মালিক সহ শ্রমিকদের অনেক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হতো। সীমান্তের আসামপাড়া বাজারে নির্মল টি হাউজ একটি উপলক্ষ মাত্র। এই হাউজের অন্তরালে মাদক ব্যাবসাই মূল লক্ষ্য।
Leave a Reply