স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ৮নং শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পলাতক থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ। এ অবস্থায় চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে জনভোগান্তি লাঘবে প্যানেল চেয়ারম্যানের উপর দায়িত্ব অর্পণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট বিকেলে শায়েস্তাগঞ্জের রেলওয়ে পার্কিং এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করতে ছাত্র-জনতা একত্রিত হন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় শেখ হৃদয় নামে দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে ১৭ সেপ্টেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান বুলবুল খানকে প্রধান আসামি করে ১১৫ জনের নাম উল্লেখ করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন আহত হৃদয়। এরপর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।
এর মাঝে, গত ২১ সেপ্টেম্বর অসুস্থতা জনিত কারণ দেখিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ১ মাসের ছুটির আবেদন করেন চেয়ারম্যান বুলবুল। ২১ অক্টোবর সেই ছুটি শেষ হলে তিনি অফিসে অনুপস্থিত থেকেও অফিসের কর্মচারীদেরকে দিয়ে ফাইল বাড়িতে নিয়ে স্বাক্ষর করছেন। অফিসে উপস্থিত না থাকায় সেবা পেতে বিলম্বিত হওয়ার পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
এ বিষয়ে কলিমনগর এলাকার জামাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যান বুলবুল খান ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলার আসামি হয়ে পলাতক রয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সেবা নিতে গেলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদেরকে। আমরা চাই যিনি নিয়মিত উপস্থিত থাকবেন এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, চেয়ারম্যান মাঝে মধ্যে অফিস করেন। জরুরী কোন কাজ হলে আমরা তার বাড়ি থেকে গিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে আসি। শুনেছি তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ বলেন, আমরাসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও তাকে খুঁজতেছে। যত দ্রুত সম্ভব তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
Leave a Reply