স্টাফ রিপোর্টার ॥ আয়রন দূরীকরণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবিগঞ্জ শহরের শ্মশানঘাট এলাকায় স্থাপন করা হয়েছিল পৌর পানি সরবরাহ কেন্দ্র। তবে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্প কোনো কাজেই আসছে না পৌরবাসীর। প্রায় এক বছর আগে উদ্বোধন করা হলেও, এখন পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি পানি সরবরাহ কেন্দ্রটির। যে কারণে এর সুফল পাচ্ছে না পৌরবাসী। এদিকে কবে এ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে সে ব্যাপারেও নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই।
২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে অচল পড়ে আছে এটি। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ইতোমধ্যে কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হতে বসেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, পৌর কর্তৃপক্ষ কাজ করতে গিয়ে অনেক পাইপ নষ্ট করে ফেলেছে। যার জন্য কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। কবে নাগাদ কার্যক্রম শুরু হবে তা বলা যাচ্ছে না। প্রয়োজনের তাগিদে উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি আছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পরিপূর্ণ কাজ সমাপ্ত করে দিতে পারেনি তাই এর কার্যক্রম শুরু হয়নি। স্থানীয়রা জানান, এখন পর্যন্ত এটি পৌরবাসীর কোনো কাজে আসছে না। হবিগঞ্জ পৌরসভা সূত্র জানায়, ৩৭টি জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় হবিগঞ্জ শহরের শ্মশানঘাট এলাকায় ২০১৫ সালের ১৫ জুন থেকে ৯ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যয়ে পানি সরবরাহ কেন্দ্রের (লৌহ দূরীকরণ প্রকল্প) কাজ শুরু করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এটি হবিগঞ্জ পৌরসভার তৃতীয় পানি সরবরাহ প্রকল্প। এর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০২৩ সালের ৩০ জুন। এতে ঘণ্টায় ৩৫০ ঘনফুট পানি পরিশোধনের ক্ষমতা রয়েছে। কেন্দ্রটি চালু হলে হবিগঞ্জ পৌরসভার ৭০ শতাংশ এলাকার বাসিন্দারা আয়রনমুক্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের আওতায় আসবেন। পৌরসভার প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুস শামীম জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে পাইপলাইন ও ভেতরের অনেক কাজ বাকি এখনও। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাহমিনা তানভীন জানান, বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। পৌর কর্তৃপক্ষ কাজ করতে গিয়ে অনেক পাইপ নষ্ট করে ফেলেছে। যার জন্য কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না।
Leave a Reply