শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাকাইলছেও- রসুলপুর সড়ক বর্ষা মৌসুমে  চলাচলে চরম দুর্ভোগ মালয়েশিয়ায় আজমিরীগঞ্জের প্রবাসী মহিবুরের মৃত্যু শোকার্ত পরিবার সাবেক এমপি মজিদ খানের পুকুরপাড়ে বজ্রনিরোধক যন্ত্র শেখ হাসিনা ও মাহবুব আলীসহ ৫ জনের বিরোদ্ধে মামলার প্রস্তুতি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হবিগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে পুলিশের ভুমিকা মাধবপুরে ৫২ মাদক কারবারি গ্রেফতার॥ মূলহোতারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে মাধবপুরের আজহার কিশোরগঞ্জে ৪০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩ হবিগঞ্জে সরকারী কলেজ শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা জেলা কমিটি গঠন মাদক, বাল্য বিবাহ ও ইন্টানেটে আসক্তি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের শপথ
বাহুবলে মহাসড়কের পাশে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধ বালুর রমরমা বাণিজ্য

বাহুবলে মহাসড়কের পাশে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধ বালুর রমরমা বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলার চা বাগান ও বিভিন্ন ছড়ার ইজারা বহির্ভূত স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে পাচার করছে একটি চক্র। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মহাসড়কের পাশে অবৈধ বালুর ডিপো তৈরি করে এসব বালু পাচার করছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পাচার করে বালু মাফিয়া চক্রটি অল্প দিনে হয়ে উঠেছে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। এতে করে একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অপরদিকে চা বাগানের পরিবেশ-প্রতিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি মহাসড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বাহুবল উপজেলার হাফিজপুর, বশিনা  ও ঢাকা-মৌলভীবাজার মহাসড়কের জয়পুর, নতুন বাজার এবং কামাইছড়া এলাকায় অন্তত ৬ টি স্থানে স্তুপ করে রাখা হয়েছে বালু। কোন কোন স্থানে এক্সাভেটর দিয়ে বালু লোড করা হচ্ছে বড় ট্রাকে। মহাসড়কের পাশে এসব বালুর স্তুপের কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব বালু বাহুবল উপজেলার রশিদপুর চা বাগানের কামাইছড়া ও দারাগাও চা বাগানের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে রাতের আধারে ট্রাক্টর যোগে এনে মহাসড়কের পাশে স্তুপ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে রাতে ও দিনে বড় ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হয়। আর এসব বালু পাচার কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের ওমর ফারুক আসাদ ওরফে তাবিজ ফারুক, চুনারুঘাট উপজেলার এলাকার কাউসার মিয়া, রমজান আলীসহ কয়েকজন।
কামাইছড়ার সুন্দ্রাটিকি এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারী রুমেন মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, তার উত্তোলন করা বালু অন্যত্র বিক্রি করতে দেন না তাবিজ ফারুক। সে ১৩শ টাকা করে প্রতি ট্রাক্টর কিনে নিয়ে উচ্চ মূল্যে বাহিরে বিক্রি করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ সময় তিনি বর্তমানে বালু উত্তোলন করছেন না বলেও দাবি করেন।
কামাইছড়া এলাকায় মহাসড়ক ঘেষা বালুর ডিপুর দায়িত্বে থাকা কাউসার মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তারা ডিপোর অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। সেটি এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি যে জমি ব্যবহার করছেন সেটি সড়ক এবং চা বাগানের। বাগান কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই তারা ব্যবসা করছেন বলে জানান তিনি।
আরেক বালুর ডিপোর মালিক ওমর ফারুক আসাদ ওরফে তাবিজ ফারুকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহসান বলেন, কিছুদিন পূর্বে কামাইছড়াতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বালুর ডিপুর বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে শীঘ্রই প্রেরণ করা হবে। কেউ যদি ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ব্যতীত বালুর ডিপু তৈরি করে ব্যবসা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com