স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরতলীর আলম বাজারে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে পাথারিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আহাদ মিয়া ও বিএনপি নেতা তারা মিয়া গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। গুলিবিদ্ধ বেশ কয়েকজনকে ঢাকা ও সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা আহাদ চেয়ারম্যানের ভাই আশিক মিয়া ও তার ছেলে মোতাব্বির আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্ট্যান্ড দখল করতে যায়। এ সময় বিএনপি নেতা তারা মিয়ার ভাই সুরুজ আলী বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে আশিক ও সুরুজ আলীর লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ মারাত্মক আকার ধারণ করে। দুই ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আহতরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের পর থেকে এখন পর্যন্ত পুলিশ কোন আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেনি। যার ফলে গতকাল অস্ত্র দিয়ে গুলি নিক্ষেপ করে তারা। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৫০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে চোখে গুলিবিদ্ধ মোতালিব মিয়াকে ঢাকায় এবং টেঁটা ও গুলিবিদ্ধ ২০ জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুত্বর আহত সুরুজ আলী, জাহাঙ্গীর, রুবেল, নাজিম, কবির, সুহেল, বাতির মিয়া, রইছ মিয়া, মুহিবুল, কবির-২, জয় মিয়া, ইকবাল মিয়া, আশিক মিয়া, আহমদ তালুকদার, ইসমাইল, ফরিদ মিয়া, আরিফ, ধন মিয়া, জাহির মিয়া, তন্নি, সামিউল, তাজুল, ফরিদ-২, রুবেল-২ ও কাসেমকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বানিয়াচং থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকা শান্ত রয়েছে।
Leave a Reply