মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা মাধবপুর উপজেলা বিএনপি’র ২ জনসহ স্বেচ্ছাসেবক, ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের ৫ নেতা রাজনৈতিক মামলার আসামী। এ নিয়ে বিএনপি’র মতাদর্শের জনগণের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। প্রাথমিক সত্যতা যাচাই না করেই দাখিলকৃত অভিযোগগুলো থানায় এফআইআর গন্য রুজু করা হচ্ছে। এতে ঘটনার সাথে জড়িত নয় এমন নিরপরাধ ব্যক্তিগণ মামলায় আসামী হয়ে মানসিক ও অর্থনৈতিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পুলিশি যাচাই বাছাই ব্যতিত উদ্ভট এসব মামলা নিয়ে সচেতন মহলে চলছে সমালোচনা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ নভেম্বর সাতক্ষিরা জেলার শ্যামনগর থানার চকবারা গ্রামের শাহদাত হোসেনের ছেলে নাজমুস সালাম (২০) বাদী হয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে প্রধান আসামী করে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ১৮ জুলাইয়ের ঘটনায় প্রায় ৫ মাস পরে মারামারিসহ ভাংচুরের অভিযোগ এনে মামলাটি রুজু করা হয়। এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন সকাল অনুমান ১১টায় শাহবাগ থানাধীন প্রেসক্লাবের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা গুরুতর আহত ও ভাংচুরের কথা। উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অন্যান্য আসামীদের সাথে এজাহারে ১৮নং আসামী হাজী মহিব উল্ল্যা ও ২৬নং হাজী মতুর্জ আলী মেম্বার। ওই দুই আসামী মাধবপুর উপজেলা বিএনপি’র কার্যকরি কমিটির সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নৌকা প্রতীকের বিপক্ষের লোক হিসেবে মাধবপুর থানায় হত্যা মামলা নং ৪৪/২৪ এর আসামী হয়ে কারাগারে ছিল তারা। মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা গেছে, মতুর্জ আলী ও মহিব উল্ল্যা গত ২রা জুলাই হবিগঞ্জ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আসামী হয়ে আত্মসমর্পন করেছিল। বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে জামিনপ্রাপ্ত হয়ে চলতি বছরের ১১ আগস্ট অথ্যাৎ আন্দোলনের ৬ দিন পর জেলহাজত থেকে মুক্ত হয়। কারাগারে থাকা ওই দুই আসামীসহ গত ৭ নভেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা নং-১২’তে ২৪নং আসামী হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জহিরুল্লাহ উরপে বশির পাঠান, ২৮নং আসামী জগদীশপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক জহুর আলী এবং ২১নং আসামী উপজেলা শ্রমিকদলের সদস্য আক্তার মিয়া। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান হামদু বলেন, ব্যক্তিগত আক্রোশে দেশের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে মামলায় আসামী করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত ব্যক্তিদের আসামী করলে এসব মামলা নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হতো না।
Leave a Reply