শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৩:১৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাকাইলছেও- রসুলপুর সড়ক বর্ষা মৌসুমে  চলাচলে চরম দুর্ভোগ মালয়েশিয়ায় আজমিরীগঞ্জের প্রবাসী মহিবুরের মৃত্যু শোকার্ত পরিবার সাবেক এমপি মজিদ খানের পুকুরপাড়ে বজ্রনিরোধক যন্ত্র শেখ হাসিনা ও মাহবুব আলীসহ ৫ জনের বিরোদ্ধে মামলার প্রস্তুতি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হবিগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে পুলিশের ভুমিকা মাধবপুরে ৫২ মাদক কারবারি গ্রেফতার॥ মূলহোতারা এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে মাধবপুরের আজহার কিশোরগঞ্জে ৪০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ৩ হবিগঞ্জে সরকারী কলেজ শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা জেলা কমিটি গঠন মাদক, বাল্য বিবাহ ও ইন্টানেটে আসক্তি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের শপথ
তথ্য গোপন করে পুলিশে চাকুরী নেওয়া কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

তথ্য গোপন করে পুলিশে চাকুরী নেওয়া কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ধলাঝাই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আমির হোসেন চোখের সমস্যা তথ্য গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে পুলিশ কনেস্টবল পদে চাকরি নেয়ায় তার বিরুদ্ধে পুলিশের আইজিপি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশে পুলিশে একটি তদন্ত টিম। অভিযোগকারী সাংবাদিক মীর জুবাইর আলম জানান, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মনজুরুল আলম গত ২৪/১০/২০২৪ইং তারিখে সূত্রঃ স্মারক নং-এসএমপি-৪১৩৬/১(৩)/আর (কেন্দ্রীয়), অভিযোগকারী সাংবাদিক মীর জুবাইর আলমকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সাক্ষী দেওয়া জন্য চুনারুঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ এর মাধ্যমে নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ পেয়ে সাংবাদিক মীর জুবাইর আলমসহ স্থানীয় আরো ১১ জন লোক সশরীরের উপস্থিত হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনজুর আলম এর কার্যালয়ে সাক্ষী প্রদান করেন এবং উল্লেখিত অভিযোগ সঠিক বলে সাক্ষী দেন। প্রতারণার মাধ্যমে পুলিশ যোগদান করায় তার শাস্তি দাবি করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমির হোসেনের লেখাপড়া করা অবস্থায় পরিবারে ভরণপোষণ করতে প্রতিদিন নিজ এলাকায় বক পাখি শিকার করতেন। এক পর্যায়ে বক শিকার করতে গিয়ে বক পাখি তার এক চোখে আঘাত করলে এতে চোখের কিছু অংশ নষ্ট হয়ে যায়। পরে চোখ অপারেশন করা হয়। তার এক চোখ ছোট হয়ে যায়। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে। উক্ত বিজ্ঞপ্তির প্রকাশের পর নিজেকে দক্ষ হিসেবে পুলিশ কনস্টেবল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসাবে অগ্রাধিকার দাবি করেন। মেডিকেল রিপোর্টে তার এক চোখ ছোট  সমস্যা ধরা পড়লে, নিজের চোখটি জন্মগতভাবে সমস্যা বলে দাবি করেন আমীর হোসেন। তখনকার সময়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদেরকে চাকরি দেওয়ার প্রাধান্যতা থাকলে এগুলির প্রতি পুলিশ প্রশাসনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখেননি। যার ফলে চোখের সমস্যা নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি করে আসছেন কনস্টেবল আমির হোসেন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম পিবিএম বলেন, একজন পুলিশ কনস্টেবলের এমন সমস্যা থাকলে চাকরি হওয়ার কথা নয়। তবে কিভাবে সে এমন তথ্য গোপন করে চাকরিতে যোগদান করেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তার এমন সমস্যা পাওয়া গেলে অবশ্যই তাকে চাকরির থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। তথ্য গোপন করে চাকরিতে যোগদান করায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com