স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চুনারুঘাটে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। পহেলা জানুয়ারি রাণীগাঁও ইউনিয়নে আইনজীবী সহকারী হারুন মিয়ার (৪০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি উবাহাটা ইউনিয়নের বালিয়ারী গ্রামের টমটম চালক দরিদ্র আতাউর রহমান (৫০) কে খুন করে ছিনতাই করা হয় টমটম। ২২ ফেব্রুয়ারি আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের চিমটিবিল খাস গ্রামের বিষু মাল (৪০) কে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। ২৭ মার্চ চুনারুঘাট পৌর শহরের দক্ষিণাচরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে খামারবাড়ী থেকে স্বপন (১০) নামের এক কিশোরের গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। ২১ মে মিরাশি ইউনিয়নের লাতুরগাঁও গ্রামের আব্দুল হাসিম (৬০) কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ৭ জুলাই গাজীপুর ইউনিয়নের গণকিরপার গ্রামের আফরোজ মিয়া (৫০) কে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্ট রাণীগাঁও গ্রামে দুুবাই প্রবাসি রাসেল মিয়াকে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। ২৯ আগস্ট রাণীগাঁও গ্রীনল্যান্ড পার্কের একটি কাঁঠাল গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় আব্দুল মতিন (৬০) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১০ সেপ্টেম্বর রঘুনন্দন হিল থেকে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১১ অক্টোবর রেমা চা বাগানে প্রতিবন্ধী জামাল মিয়াকে খুন করে দোকানের মালামাল লুট করা হয়। ১৩ অক্টোবর দেউন্দি চা বাগানের ফুলছড়ি টিলা থেকে অভিজিৎ সাঁওতাল (৪৫) কে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ২৭ অক্টোবর রাণীগাঁও গ্রামের ওয়াহিদুর রহমানের কন্যা রুমির (১৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২১ নভেম্বর গাজীপুর ইউনিয়নের হাপ্টার হাওর গ্রামে রাজু মিয়া (৫০) কে খুন করা হয়। ২৮ নভেম্বর চণ্ডীছড়া চা বাগানে পানির কূপ থেকে দেড় বছরের শিশু রনি বাড়াইকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর রাণীগাঁও রিজার্ভ টিলা থেকে সূচিত্রা সাঁওতালের (৪৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর চুনারুঘাটে সুকুইন্না টিলা নামক স্থানে মফিল মিয়া চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হলে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সীমান্ত উপজেলা চুনারুঘাটে চোরাচালানসহ মাদক ব্যবসায়ীদের নিরাপদ স্থান। এ উপজেলায় চোরাচালান ও চা বাগানের গাছ পাচার নিত্যদিনের ঘটনা। জমি সংক্রান্ত বিরোধসহ নানা রকম সামাজিক অস্থিরতার কারনেই হত্যা, খুন, ডাকাতিসহ অপমৃত্যুর ঘটনা অহরহ ঘটছে। থানা পুলিশের অপরাধ জনিত মামলার চার্জশিটসহ প্রতিবেদন দাখিল এবং আদালতে মামলার দীর্ঘ সূত্রিতার কারণেই অপরাধমূলক গ্রহিত ঘটনাগুলো ঘটছে বলে অনেকেরই অভিমত।
Leave a Reply