নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ আজমিরীগঞ্জে এক্সেভেটরে কৃষিজমির মাটি কেটে পুকুর তৈরি অপরদিকে মাটি বিক্রির হিড়িক পড়েছে। এতে আশংকাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে কৃষিজমির উর্বরতা। এলাকার অসাধুচক্র নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই চালাচ্ছে মাটির ব্যবসা। একদিকে যেমন ফসলি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। অপরদিকে, ঝুঁকিতে পড়ছে ব্রীজ, কার্লভার্ট, রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর। ফসলি জমিতে এক্সকাভেটরের বসিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি। এসব মাটি ডাম্প ট্রাক ও সড়কে নিষিদ্ধ কাকড়া ট্রাক দিয়ে ক্রেতার কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে কৃষিজমির পাশাপাশি গ্রামীণ অবকাঠামো এবং পাকা রাস্তারও ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। গতকাল রবিবার সরেজমিন উপজেলার কাকাইলছেও, শিবপাশা, জলসুখা ইউনিয়নের হাওরে গিয়ে দেখা যায়, মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমিতে এক্সেভেটর দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করছেন। বিভিন্ন বসতভিটা, পুকুর ভরাটে, নির্বিচারে চলছে মাটি কাটার কাজ। এভাবে মাটি কেটে নেয়ার কারণে মাটি বোঝাই ভারি ডাম্প ট্রাক চলার কারণে ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। স্থানীয় কৃষকরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই অসাধু মাটিখেকোচক্র এলাকার তিন ফসলি কৃষি জমিতে খননযন্ত্র (ভেকু) বসিয়ে মাটি কেটে স্থানীয় বসতবাড়ি ভরাটের কাজ করে আসছেন। অন্যের ফসলি জমির ওপর দিয়ে মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চলাচলের জন্য তৈরি করা হয়েছে রাস্তা। মাটির টপ সয়েল কেটে নেয়ার ফলে কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে নালা অথবা জলকড়া জমিতে পরিণত হচ্ছে। নির্বিচারে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ফসলি জমি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাবে। হ্রাস পাবে ফসল উৎপাদন।
Leave a Reply