জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ জেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলাসহ ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ আসামিকে ছাত্র-জনতা আটক করে পুলিশে দেয়। মামলার বাদীদের অভিযোগ পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার বা আটক করেনি। এমনকি কোনো আসামির বাড়িতেও যায়নি তারা। গতকাল রবিবার বিকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত মেরাজ আহমেদের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রিচি গ্রামের জনাব আলীর পুত্র তাজুল ইসলাম মহরি (৪০) কে সাবরেজিস্ট্রার অফিসের সামন থেকে জনতা আটক করে। পরে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাবার পথে সে ছাত্রজনতার কাছ থেকে রহস্যজনক কারণে ছুটে যায়। এর আগেও একইভাবে সাবরেজিস্ট্রার অফিসে তাজুলকে আটক করলে সে পালিয়ে যায়। অথচ সে প্রতিদিনই ওই অফিসে কাজ করছে। এছাড়াও এসব মামলার অন্যতম আসামীরা বাড়িতে থাকলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে। অথচ রিপন শীল, মোস্তাক ও বানিয়াচংয়ের নাইন হত্যা মামলার বেশিরভাগ আসামিদের জনগণ আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এ বিষয়ে সদর থানার ওসি আলমগীর কবির জানান, তাজুল মহুরি আটকের খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ছুটে যায়। কিন্তু পোদ্দার বাড়ি এলাকায় পৌঁছলে খবর আসে সে চলে গেছে। তবে তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply