স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় ৩ উপজেলার খোয়াই নদীর সীমানা নির্ধারন না হওয়ার সুযোগে লস্করপুর এলাকার ফারুক মিয়া, উবাহাটা ইউনিয়নের জামাল মেম্বার,রুবেল,কোটান্দর গ্রামের হিরন, শায়েস্থাগঞ্জ মহলুলসুনাম এলাকার সাইফুল ইসলাম, বিরামচর গ্রামের ফজল তালুকদার, কদমতলীর সোহেল ভান্ডারী, উলুকান্দি গ্রামের রাবার বাচ্ছু। দীর্ঘদিন যাবৎ খোয়াই নদীর ইজারা বিহীন এলাকার বালুর পরিবর্তে খোয়াই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ থেকে মাটি উত্তোলন করে নিচ্ছে। বাহুবল, শায়েস্থাগঞ্জ ও চুনারুঘাট উপজেলার ইজারাবিহীন ত্রীমুখীস্থল উবাহাটা থেকে খোয়াই নদীর বালু ও খোয়াই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে শায়েস্থাগঞ্জ, চুনারুঘাট এবং বাহুবল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থাই নেয়া হচ্ছে না। ফলে উল্লেখিত এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। খোয়াই প্রতিরক্ষা বাঁধ থেকে এভাবে বাঁধের মাটি কেটে নিলে আগামী বর্ষা মৌসুমে খরস্রোতা খোয়াই নদীর গ্রাস উল্লেখিত এলাকায় ভাঙ্গনের সৃষ্টি হতে পারে। এই এলাকায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হলে শায়েস্তাগঞ্জ পুরান বাজার সহ খোয়াই ব্রীজ ও মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এলাকার মানুষ দূর্ভোগের মূখে পড়বে।
এ ব্যাপারে বাহুবল উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভূমি) জানান, বাহুবল উপজেলার খোয়াই অংশ ইজারা দেয়া হয়নি। কারন শায়েস্থাগঞ্জ – চুনারুঘাট উপজেলার সীমানা নির্ধারন না থাকার সুযোগেই অবৈধ বালু ও খোয়াই প্রতিরক্ষা বাঁধ কেটে নেয়ার সুযোগ নিচ্ছে একশ্রেণীর একটি কুচক্রী মহল। বাহুবল উপজেলার বালুচর, লুদ শাহ মাজার সংলগ্ন স্থান ও মিরপুর ইউনিয়নের কোটান্দর এলাকা থেকে খোয়াই নদীর বালু ও খোয়াই বাঁধ খেটে নিচ্ছে ওই চক্রটি। আইনের ফাকফোঁকড়ে স্বার্থানেষী সংঘবদ্ধ এই চক্রটি খোয়াই প্রতিরক্ষা বাঁধ খেটে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। উল্লেখিত ৩ উপজেলার খোয়াই নদীর সীমানা নির্ধারিত হলে ওই চক্রকে প্রতিহত করা সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের খোয়াই প্রতিরক্ষা বাঁধ রক্ষায় তেমন কার্যকর বা আইনী প্রক্রিয়া গ্রহন করতে দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দারা হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক সহ বিভাগীয় কমিশনারের আশু দৃষ্টি কামনা করছেন।
Leave a Reply