স্টাফ রিপোর্টার, চুনারুঘাট ॥ রহস্যময় পাজেরো গাড়ীর মালিকের সন্ধান না পেয়ে গত ২৫ জানুয়ারী কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। গাড়ীর কাগজপত্র না থাকা এবং মালিক না পাওয়ায় অবশেষে ১০ দিন পর গাড়ীটির ঠাঁই হলো আদালতে। ঢাকা মেট্রো ঘ ১১-১১৬২নং গাড়ীটি গাজীপুর ইউনিয়নের আসামপাড়া বাজারের অদূরে হাজী মসলিশ মিয়া একাডেমি প্রাঙ্গন থেকে ১৫ জানুয়ারী উদ্ধার করা হয়েছিলো। এলাকাবাসি জানান, ওইদিন ভোরে স্থানীয় মানুষের নজরে আসে কালো রঙের পাজেরো গাড়ীটি। গাড়ীর গ্লাসগুলো কালো রঙের হওয়ায় স্থানীয় মানুষের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। আসামপাড়া বাজারের জনৈক শামসুজ্জামান শামীম তার ফেইসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তিনি ভিডিওতে আসামপাড়া বাজারের বাবুল মিয়ার পুত্র রুমেলকে পরিচয় করিয়ে দেন। বলেন, গাড়ীটির মালিক রুমেল। রুমেল ভিডিওতে বলেন, গাড়ীটি শায়েস্তাগঞ্জের লন্ডন প্রবাসি মোশাহিদ তালুকদারের।
চুনারুঘাটের এক সাংবাদিক তার আইডিতে লিখেন, কালো রঙের গাড়ীতে কোন ভিআইপি সীমান্ত পারাপারের চেষ্টা করছিলেন হয়ত। গাড়ীতে বড় দুইটি লাগেজ ছিলো। বিষয়টি এলকায় ছড়িয়ে পড়লে চুনারুঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রুমেলের সাথে কথা বলেন। তার কথায় গড়মিল থাকায় এবং গাড়ীর কাগজপত্র না থাকায় গাড়িটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
একটি সূত্র জানায়, বিআরটিএ এর তথ্য অনুয়ায়ী গাড়িটি সংকল্প ট্রাস্টের নামে রেজিস্ট্রেশন করা। ২০০৫ সাল পর্যন্ত গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। এছাড়া আর কোন কাগজপত্র নেই। গাড়িটির চেহারা সুরত দেখে মনে হচ্ছে গাড়িটি যে কোন স্থানে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো তবে কালো রঙের গাড়িটি কেনো কিভাবে সীমান্ত বাজার আসামপাড়ায় এলো, কেনো এলো এর রহস্য এখনও অনুদ্ঘাটিত। চুনারুঘাট থানার ওসি নূর আলম বলেন, গাড়ীর বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি তাই গাড়িটি কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বিগত সময়ে রাত বিরাতে এ গাড়ীটিকে সীমান্ত এলাকার আসামপাড়া বাজারে একাধিকবার চলাচল করতে দেখা গেছে।
Leave a Reply