বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হবিগঞ্জে ভারতীয় গরু অনুপ্রবেশ নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা মাধবপুরে দুনীর্তি প্রতিরোধ কমিটির বির্তক প্রতিযোগিতা বানিয়াচংয়ে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা ॥ দেখার যেন কেউ নেই মাধবপুরে ভাবি ভাতিজিসহ তিনজনকে হত্যার দায়ে তাহেরের মৃত্যুদন্ড বাংলাদেশেও বন্যা ঘটতে পারে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা উজানে বন্যার প্রতিধ্বনি হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজনে দুদকের গণশুনানি শায়েস্তাগঞ্জে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাকাতি গিলাফ চড়ানোর মাধ্যমে হযরত শাহজালাল (রহঃ)-এর ওরস শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলার আসামি স্বামী-স্ত্রী হবিগঞ্জে গ্রেপ্তার নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা দু’জনের কারাদণ্ড
মাদক মামলার ৪ আসামীর নিরাপদে পলায়ণ

মাদক মামলার ৪ আসামীর নিরাপদে পলায়ণ

 

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ আদালতের ভুয়া জামিননামা দিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে গেল মাদক মামলার ৪ জন আসামি। যা নিয়ে হবিগঞ্জের আদালতপাড়াসহ সর্বত্র এখন চলছে নানান ধরণের আলোচনা ও সমালোচনা। ভুয়া জামিননামা দিয়ে বের হওয়া মাদক মামলার আসামীরা হল সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার শিমুলগঞ্জ গ্রামের আব্দুল কদ্দুছ মিয়ার ছেলে রুয়েল মিয়া, একই উপজেলার কিরণ মিয়ার ছেলে আলী হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলার পাগলা গ্রামের সজলু মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কিরগাঁও গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে সুয়েব মিয়া।
জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি মাধবপুর উপজেলায় ৩৫ কেজি গাঁজাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে উল্লেখিত ৪ মাদক কারবারি। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। যার মামলা নং জিআর ১০/২৫। মাদক কারবারিদের আইনজীবি এডভোকেট ফয়সল আদালতে বেশ কয়েকবার তাদের জামিন আবেদন প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত তাদেরকে জামিন দেননি। গত ২৬ জানুয়ারিও তাদের জামিন আবদেন করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তারা জামিনে বের হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল বৃহস্পতিবার এডভোকেট ফয়সল আদালতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি নিশ্চিত হন তার আসামিরা ভূয়া জামিননামা তৈরী করে জিআরও অফিসের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরে সেখান থেকে তারা ছাড়া পেয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে এডভোকেট ফয়সল জানান, উল্লেখিতদের ম্যজিস্ট্রেট ও জজ কোর্টে জামিন চেয়ে পাইনি। পরবর্তীতে আমি হাইকোর্টে কাগজপত্র পাঠাতে চাইলে তার স্বজনরা জানায়, হাইকোর্টে কাগজপত্র পাঠানোর কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের লোকজন জামিন নিয়ে বের হয়ে গেছে। এ বিষয়টি জানার পর আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখি ভুয়া জামিননামা তৈরী করে জিআরও অফিসের মাধ্যমে তা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।
হবিগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর (ওসি) শেখ নাজমুল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর থেকেই আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। কে জামিননামা দিল আবার কিভাবে সেটা কারাগারে গেল তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি জানার পর আপনাদের জানাতে পারব। এছাড়াও এ ঘটনায় জিআরও অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মুজিবুর রহমান বলেন, প্রতিদিনকার নিয়মেই আদালত থেকে আমাদের কাছে জামিননামা আসে। সেই অনুযায়ী বন্দিরা ছাড়া পায়। তবে সেটি ভুয়া জামিননামা ছিল এ বিষয়টি আমাদের জানা নেই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com