স্টাফ রিপোর্টার।। হবিগঞ্জের বাহুবলে জয়পুর শচী অঙ্গন ধাম মন্দির রাতের আঁধারে ভাঙ্গার কারণে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটি বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে যৌথবাহিনী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গুরুত্বপূর্ণ এ মন্দিরের কর্তৃত্ব ও বিতর্কিত কমিটি গঠন নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে চলছে দ্বন্দ্ব। শচী মন্দিরের পাশে ব্যক্তিগত শিব মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য বিরোধে জড়ায় দুইটি গ্রুপ।
তাদের আভ্যন্তরীন এ বিরোধ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এখনও আদালত বিচারাধীন রয়েছে একাধিক মামলা।
স্থানীয় প্রশাসনের কড়াকড়ি থাকলেও কিছু দিন পরপরই একটি গ্রুপের একগুঁয়েমীর কারণে সৃষ্টি হয় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আদালতের চুড়ান্ত কোন আদেশ না আসলেও বর্তমান কমিটির কতিপয় ব্যক্তি অতি উৎসাহী হয়ে ১ মে রাতে পুনঃনির্মাণের অজুহাতে শচী মন্দির ভাঙা শুরু করেন। মন্দির ভাঙ্গার বিষয়টি জানাজানি হলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় সাধারণ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে। এনিয়ে অনেকে লেখালেখি করেন সোস্যাল মিডিয়ায়।
পরদিন ২ মে ঘটনাস্থলে যায় যৌথবাহিনী। তারা সার্বিক বিষয় অবগত হয়ে মন্দিরের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনায় সমন্বয় সহ বিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে এক সপ্তাহের মধ্যে সভা আহবান করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন।
মামলার বাদী উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের মৃত সুনীল দেবের ছেলে রতন দেব জানান, জয়পুর শচী অঙ্গন মন্দির সংক্রান্ত চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত আদালত দেননি। মামলা নিষ্পত্তি না হলে কমিটির নাম ভাঙ্গিয়ে কয়েক ব্যক্তি রাতের আঁধারে মন্দির ভাঙা শুরু করেছেন।
অপরদিকে, মন্দির কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে উল্লেখিত বিষয়ে একটি লেখা পোস্ট করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন ‘বাহুবলের জয়পুরে অবস্থিত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মাতুলালয় শ্রীশ্রীশচীঅঙ্গন ধাম-এ জরাজীর্ণ হওয়া পুরাতন মন্দিরটি কমিটির সিদ্ধান্ত মতে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এখন সেখানে মন্দির পুনর্নির্মিত হবে।’
Leave a Reply