মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাধবপুরের ৩টি বালু মহালের ইজারা মেয়াদ শেষ হলেও বন্ধ হয়নি সিলিকা বালু উত্তোলন ও বিক্রি। সরকারের প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের ৩টি বালু মহাল থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের ইজারাদার উপজেলা বিএনপি’র সহসভাপতি পারভেজ হোসাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ১৪৩০ বাংলা সনে ইজারা নেওয়া মাধবপুর উপজেলার রসুলপুর, মনতলা ও মনতলা চৌমুহনী বালু মহালের মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল বাংলা সনের ৩০ শে চৈত্র। ইজারার মেয়াদ শেষ হলেও ৩টি মহালের প্রায় ১৭শ ২৩ একর এরিয়াসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ব্যক্তিগত ভূমি থেকে বালু উত্তোলন করে ট্রাক ট্রাক্টর যোগে চলছে বিক্রি। ইজারাবিহীন কোয়ারীগুলো থেকে বালু বিক্রি করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার পকেট ভারী করছে গত বছরের ইজারদার সিন্ডিকেট। প্রকাশ্যে দিবালোকে মেয়াদ উত্তীর্ণ মহাল থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করা হলেও স্থানীয় প্রশাসন থাকছে নিরব-নির্বিকার। প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে সচেতন মহলে চলছে সমালোচনা। সম্প্রতি বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধে সোনাই নদী রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ ছায়েদুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরারব অভিযোগ করেন। কমলানগর গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়া স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে এবং শাহজাহান মিয়া নামে এক ব্যক্তি জেলা প্রশাসক বরারব অভিযোগ করেন। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধে আবেদন করা হলেও প্রশাসনের কার্র্যকর কোন ভূমিকা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অভিযোগকারীরা। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই মনতলা বালু মহালের বোরহানপুর, ভবানীপুর,দূর্লভপুর, আফজলপুর ও বহরা, চৌমুহনী মহালের কাশিমপুর, আলাবক্সপুর, মনোহরপুর, মঙ্গলপুর, গাজীপুর এবং আশ্রবপুরে এবং রসুলপুর মহালের এক্তিয়ারপুর, ভান্ডারুয়া,শাহজাহানপুর, সম্পদপুর, বড়ধলিয়া, সেলিমপুর ও রসুলপুর উত্তর মৌজাসহ আশপাশের এলাকায় অর্ধশতাধিক মেশিন বসিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা না থাকায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছেনা। সম্প্রতি কোন অদৃশ্য শক্তিতে কোটি কোটি টাকার বালু পাচার হচ্ছে তা নিয়ে আলোচনা চলছে সচেতন মহলের মাঝে। এই হরিলুট বন্ধ না হলে বালু মহাল এলাকায় যেকোন সময়ে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। হতে পারে প্রাণহানী। খোজ নিয়ে জানা গেছে ২৮.০৭.০০০০.০০৫.৬৬.০০২.২২(অংশ-০১)-৫৬৫ স্মারকের মহাল মেয়াদ শেষ হলেও সোনাই নদী ও রসুলপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি, ৬নং শাহজাহানপু ইউ/পি চেয়ারম্যান ইজারাদার পারভেজ হোসাইন চৌধুরী মোবাইলে সিলিকা বালু বিক্রি ও উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সাধারন মহাল থেকে বালু বিক্রি করা হচ্ছে।
Leave a Reply