প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ নবীগঞ্জে কথিত দু’ যুবক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাদাঁ দাবীর অভিযোগ করেছেন শেখ মোঃ আব্দুস ছালাম ও তার ভাই শেখ মোঃ ইসাক মিয়া। গতকাল বুধবার দুপুরে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন তারা। তাদের বক্তব্যে বলেন, উপজেলার করগাওঁ গ্রামের ফারুক মিয়া ও জাকারিয়া গংদের সাথে আব্দুস ছালামের বৈদ্যুতিক লাইনকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় ১ মে বৃহস্পতিবার বাদল আহমদ ও শফিকুল ইসলাম নাহিদ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাদের বাড়িতে যায়। এ সময় তারা বাড়ির জায়গা মাপঝোক করে এবং ছালামের নিকট ৫০ হাজার টাকা চাদাঁ দাবী করে। টাকা দিলে বৈদ্যুতিক লাইন নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করে দিবে। অন্যতায় তারা লাইন টানানোসহ পুলিশ এনে গ্রেফতার করাবে। গত ৪ মে রবিবার করগাওঁ গ্রামের আজির মিয়ার ছেলে রুমান মিয়ার সহযোগিতায় কথিত সাংবাদিক নামদারী উক্ত বাদল আহমদ ও শফিকুল ইসলাম নাহিদ নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও পল্লী বিদ্যুতের লোকজন নিয়ে গিয়ে ফারুক মিয়ার পক্ষ নিয়ে আব্দুস ছালামের ঘরের উপর দিয়ে জোর পুর্বক বিদ্যুতের লাইন নিতে চাইলে তারা আপত্তি দেন। এ সময় বাদল ও নাহিদ পুলিশের সামনে তাদের লোকজন এমনকি মহিলাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের হুমকী দেন। তাদের বাধার কারনে বিদ্যুত লাইন লাগাতে না দেয়ায় সাংবাদিক পরিচয়দানকারীরা বিভিন্ন মামলায় ঢুকিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সমাজে তাদের মান সম্মান হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইনে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে মানহানি করে। সংবাদে সাবেক মেম্বার ইসাক মিয়া, নোমান মিয়া, শফি মিয়া, এসএসসি পরীক্ষার্থী নাহিদ মিয়ার নাম জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সামাজিকভাবে তাদের মানহানি হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। এছাড়া উক্ত বাদল ও নাহিদের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগে বেশ কিছু দিন আগে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। অথচ তারা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমাদের বাড়ির জায়গা মাপঝোক, জোরপুর্বক বিদ্যুতের লাইন নেয়ার অপচেষ্টা, পুলিশ দিয়ে আমাদের হয়রানিসহ ৫০ হাজার টাকা চাদাঁ দাবীর কারনে আমরা হতবাক হয়েছি। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সহোদর আব্দুস ছালাম ও ইসাক মিয়া।
Leave a Reply