শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
নবীগঞ্জে লটারির মাধ্যমে ১৩ ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগ লাখাইয়ে পুলিশ দেখে ভয়ে পালাতে গিয়ে যুবলীগ নেতার মৃত্যু হবিগঞ্জে ২২ বছর পর হত্যা চেষ্টা মামলার রায়ে ৮ জনই খালাস ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশকালে হবিগঞ্জের ৩ যুবক আটক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানে গাঁজাসহ কারবারি গ্রেফতার মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে দুদকের হবিগঞ্জ উপ-পরিচালকসহ ৩ সদস্যের অভিযান লাখাইয়ে পার্টানার কংগ্রেস কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জে ভারতীয় গরু অনুপ্রবেশ নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা মাধবপুরে দুনীর্তি প্রতিরোধ কমিটির বির্তক প্রতিযোগিতা বানিয়াচংয়ে সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা ॥ দেখার যেন কেউ নেই
ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুতে রোগী পারাপার

ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুতে রোগী পারাপার

বাহুবল উপজেলার ১নং স্নানঘাট ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার জনসাধারণের বসবাস। এলাকাটি হাওর অঞ্চলে হওয়ায় জনসাধারণ সরকারি চিকিৎসার সেবা নিতে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। অবশেষে তাদের দোড়গোড়ায় ২০২০ সালে নির্মাণ করা হয় স্নানঘাট কমিউনিটি ক্লিনিক। এটি স্নানঘাট বাজার সংলগ্ন পুটিজুরী সড়কের পাশে একটি খালের দিক্ষণ পাশে অবস্থিত।

স্থানীয়রা জানান, ক্লিনিক নির্মাণের চার বছর অতিবাহিত হবার পরেও ক্লিনিকের সাথে সংযোগ ব্রীজ এখনো করা হয়নি। এ নিয়ে তাদের মাঝে দিন দিন ক্ষোভ জন্ম নিচ্ছে। যেকোনো সময় ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুটিরও নরবড়ে অবস্থা। বাঁশগুলো শুকিয়ে ভেঙে পড়ছে। তবুও সরকারি চিকিৎসা সেবার জন্য রোগী এবং স্বজনদের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু দিয়ে পারাপার হয়ে ক্লিনিকে যেতে হয়।

ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা আয়মনা বিবি বলেন, চার বছর ধরে অনেক কষ্ট করে ক্লিনিকে গিয়ে ঔষধপাতি নিয়ে আসি। গর্ভবতী মহিলা, অসুস্থ শিশু অনেক কষ্ট করে সাঁকো পার হয়।

ওয়ার্ড মেম্বার জুনেদ মিয়া জানান, ভাঙা কাঠের সেতু দিয়ে রোগী পারাপারের সময় মনে হয় কখন যেন ভেঙে পড়বে সেতুটি। দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান তিনি।

ক্লিনিকের সিএইচপি অফিসার বিজন সূত্রধর জানান, প্রতিদিন ৪০-৫০ জন রোগী ক্লিনিকে সেবা নিতে আসেন। মাঝে মধ্যে জটিল রোগীও আসেন যেমন যক্ষ্মা, গর্ভবতী রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। বেশি আসেন শিশু ও নারীরা। তবে কাঠের সেতু দিয়ে রোগী পারাপারের সময় আতংকে থাকেন কখন ভেঙে পড়েন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষকে অবগত করেছেন কর্মরত এই স্বাস্থ্য সেবক।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন রাহিম জানান, কাঠের সেতু পরিবর্তে ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার হয়েছে দুবার। গত পরিষদের চেয়ারম্যানের আমল একবার এবং সর্বশেষ কেয়া চৌধুরী এমপি হবার পর আরেকবার। তবে কেন ব্রিজ হচ্ছে না তা তিনি জানেন না। তবে উপজেলার পিআইও অফিসে দ্বিতীয় ধাপের বরাদ্দ আছে বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।

উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, ক্লিনিকের সামনে খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্রিজের নকশা অনুযায়ী এখানে জায়গা স্বল্প থাকায় নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচেছ না। তবে নকশা পরিবর্তনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর আবেদন করা হয়েছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com