স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলার বড়ইউড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নামে আছেন কাজে নেই। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তার মাধ্যমে চলছে ইউনিয়ন পরিষদের কাজ। চেয়ারম্যানকে ঘুষের টাকা না দেয়ায় কাজ পাননি ইউপি সদস্য শিহাব। হযবরল অবস্থায় চলছে ইউনিয়নের কার্যক্রম। ১৯ জুন বেলা ১১টায় সরেজমিন ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর কক্ষটি খোলা। ভিতরে গিয়ে দেখা যায় চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত নেই। এসময় সেবা নিতে আসা অত্র ইউনিয়নের বাসিন্দা সোহাগ জানান, আমার আত্মীয়ের একটি জন্মনিবন্ধন করার জন্য ১সপ্তাহ ধরে ইউনিয়ন পরিষদে এসেও কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছি না,ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে পরিষদে আসেননা। তার ছেলে আল নাহিদ বাবলুকে দিয়ে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কাজ সেরে নিচ্ছেন। সে উদ্যোক্ততা না হয়েও উদ্যোক্ততার কাজ করছে। টাকা ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সেবা মিলছে না। চেয়ারম্যানের নামে জুলাই আন্দোলনের ঘটনায় মামলা থাকায় তিনি প্রায়ই অনুপস্থিত থাকছেন। এতে করে সেবা নিতে আসা জনগণ পড়েন ভোগান্তিতে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এভাবে একটা ইউনিয়ন পরিষদ চলতে পারে না। ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ঐ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। জুলাই আন্দোলনের পর তার নামে মামলা হওয়ার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জন্মনিবন্ধন করতে আসা লোকজন জানান, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতে তার ছেলে চালাচ্ছেন ইউনিয়নের কার্যক্রম কোন নিয়ম কানুন নেই ইউনিয়ন পরিষদে। তারা বলেন, আমরা বেশি চাপাচাপি করলে হয়রানির শিকার হতে হয়। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করতে হচ্ছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কাজের জন্য চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ পরিষদের সদস্যদের কাছ থেকেও হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। তার চাহিদা মোতাবেক ঘুষের টাকা না দেয়ায় ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ শিহাব মিয়াকে গাইডওয়ালের কাজ দেয়ার পরও সেটা পরবর্তীতে অন্য একজনকে দিয়ে দেন চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ। যাকে এ কাজটি দেয়া হয়েছে তিনি অত্র ইউনিয়নের মহিলা সদস্য রাশেদা বেগম। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস থেকে কাজের জন্য যে মোতাবেক ড্রয়িং দেয়া হয়েছে সেভাবে কাজটি করাচ্ছেন না ইউপি সদস্য রাশেদা বেগম। সরেজিমন পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের দেয়া ড্রয়িং এর ধারে কাছেও নেই কাজটি। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ এর বিরুদ্ধে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইউপি সদস্য মোঃ শিহাব মিয়া। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম সাথী’র দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, ইতিমধ্যে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ এর বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply