স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাদরাসা ছাত্র হাফেজ আহমদ মনসুরের হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানান দারুল ইরশাদ ওয়াদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া বহুলা মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা। এতে বক্তব্য দেন, মাওলানা আব্দুল আজিজ শাহপুরি, সাইদুর রহমান, মহিব উদ্দিন আহমেদ সুহেল, আবু মুছা, আজিজুর রহমান মানিক ও দারুল ইরশাদ ওয়াদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া বহুলা মাদরাসার নির্বাহী পরিচালক জাবের আল হুদা। এ সময় বক্তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। পরে নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। জানা যায়, রোববার (২২ জুন) দিবাগত মধ্যরাতে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ইদগাহ পুকুরে ওই মাদরাসা ছাত্রের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এ সংবাদ পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। যদিও তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই পুকুরে হয়ত গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তার। তবে তার পরিবার ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাবি- গভীর রাতে কে বা কারা মনসুরকে ডেকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করে ঈদগার পুকুরে মরদেহ ফেলে রাখে। হাফেজ আহমদ মনসুর হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আলাপুর গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে ও শহরতলীর বড় বহুলা দারুল ইরশাদ ওয়াদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া বহুলা মাদরাসার ছাত্র। হবিগঞ্জ মডেল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে পুকুরের পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এছাড়াও পরিবার ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দাবির প্রেক্ষিতে পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখছে।
Leave a Reply