স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলার নতুন বাজারে বিএনপির অফিসে হামলা ও ভাংচুর মামলার আসামি হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে জামাল আহমেদ সাকিব। আওয়ামী লীগের পোষ্য জামাল আহমেদ সাকিবের বাড়ি উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের বশিনা গ্রামে। সে ঐ গ্রামের মৃত আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে। গত ১৬ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৭ নং ভাদেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন মিয়ার নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি অফিসে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার পর স্থানীয় চক্রামপুর গ্রামের মফিজুর রহমান চৌধুরীর ছেলে যুবদল নেতা ছাদেক চৌধুরী বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে প্রধান আসামী করে বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। বাহুবল থানার মামলা নং ১২/৯৫। তারিখ ১৮/০৬/২০২৫। এ মামলায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধোর করে জখম, ভাংচুর ও হুমকির অভিযোগ আনা হয়। জামাল উক্ত মামলার ১৯ নং আসামি। জামাল সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির চৌধুরীর আশীর্বাদে তৎকালীন ছাত্রলীগ কর্মী জামাল আহমেদ সাকিব ২০১৩ সালে নিয়মবহির্ভূতভাবে নিযুক্ত হন বাহুবল কিশলয় জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে। এরপর হতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জামাল স্কুলটিকে পরিণত করেন নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। রাজনৈতিক প্রভাবে নির্বিঘ্নে শুরু করেন অনিয়ম-দূর্নীতি। সে সময় সচেতন অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠন করলেও কোন প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগীরা। রাজনৈতিক প্রভাবে দেওয়া হয় ধামাচাপা। গত বছর ৫ আগস্ট দেশের পট-পরিবর্তনের পর উপজেলা প্রশাসন পরিচালিত কিশলয় জুনিয়র হাইস্কুলের আলোচিত এই প্রধান শিক্ষক জামাল আহমেদ সাকিব গা-ঢাকা দেন। বেশ কিছু দিন আত্মগোপনে থাকার পর মাঝে মধ্যে প্রকাশ্যে আসলেও দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস ধরে কর্মস্থলে দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে জানতে তার (০১৭১৮-৩৫০২৫৬) মুঠো ফোনে কল দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply