হবিগঞ্জ জেলায় বন্যার প্রভাবে ডিম ও দুধের উৎপাদনে বড় ধাক্কা লেগেছে। গো-
খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ায় বড় রকম ক্ষতির শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর
জানিয়েছে, হবিগঞ্জের চারটি উপজেলায় ডেইরি ও পোল্ট্রিশিল্পে এ পর্যন্তক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০
লাখ টাকা। ক্ষতির অঙ্ক আরও বাড়বে।
রোববার পর্যন্তপঁাচ দিনের বন্যায় গাভি, ছাগল ও ভেড়ার ৪০টি খামার ক্ষতিগ্রস্তহয়। ৩৫টি খামার
থেকে ২০০টি হঁাস ও ৪১টি মোরগ ভেসে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে হবিগঞ্জে দৈনিক দুধ উৎপাদনের
পরিমাণ ৪০০ টন ও ডিম উৎপাদন হয় দশ লাখ পিস। বন্যার কারণে দিনে ৭ টন দুধ ও ৭০
হাজার ডিম উৎপাদন কমে যায়।
সবমিলিয়ে ৯ উপজেলায় ৩ হাজার ৫৪৬টি গরু মোটাতাজাকরণ খামার, ৩ হাজার ৬৩৫টি গাভির
খামার, ছাগলের ৫৮১টি, ভেড়ার ৩৬৩টি, মুরগির ৭০০টি ও ৬২২টি হঁাসের খামার রয়েছে।
বন্যার পানি নামতে বিলম্বহলে এসব খামার নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্তহবে।
জেলা প্রণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল কাদের জানান, হবিগঞ্জ সদর, মাধবপুর, বাহুবল ও
চুনারুঘাট উপজেলায় ডেইরি ও পোল্ট্রিখামারগুলো ক্ষতিগ্রস্তহয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
মাধবপুর উপজেলা।
তিনি বলেন, বিভিন্নস্থানে বন্যায় গো-খাদ্যও ভেসে গেছে। অন্যান্য গবাদি পশুর খামারগুলোয়
খাদ্যের সংকট আছে। উৎপাদন কমে গিয়ে এ পর্যন্ত৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার
পানি পুরোপুরিভাবে নেমে যাওয়ার পর হিসেব করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
Leave a Reply