স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকায় সম্প্রতি পুলিশী তৎপরতা না থাকায় জুয়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য। এতে করে সামাজিকভাবে অবক্ষয় সহ এলাকায় চুরি-চামারি বৃদ্ধি সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংখা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকায় সম্প্রতি বিভিন্ন ধরণের জুয়াখেলার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য আশংখাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। আগে পর্দার আড়ালে আবডালে গোপনে লোকজনের অগোচরে জুয়াখেলার আসর জমাতো। বর্তমানে পুলিশী তৎপরতা না থাকার কারণে জুয়ারিরা প্রকাশ্যে দিবালোকে জুয়াখেলার আসর বসাচ্ছে। পৌরসভাধীন বিভিন্ন স্পটে কেরাম ও তাসের মাধ্যমে এ ছাড়া অনলাইন ভিত্তিক জুয়ার আসরের আয়োজন করে আসছে জুয়ারিরা। এতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়াখেলা হচ্ছে। অনলাইন জুয়াখেলায় আসক্ত হয়ে অনেক জুয়ারি জমিজমা বিক্রি করে সর্বশান্ত হচ্ছে। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেক ব্যবসায়ী এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। সম্প্রতি ওই এলাকার টানবাজারের ও ভূঁইয়া মার্কেটের নীচের দুই স্বর্ণাকার এ ছাড়া চরবাজারের এক মুদিদোকানি হঠাৎ করে বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে অনলাইন জুয়াখেলায় জড়িয়ে পড়ে। পর ব্যবসায় লোকসান দিয়ে কয়েকদিন পূর্বে এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। তবে অনলাইন ভিত্তিক জুয়াখেলার এলাকার সাব এজেন্টরা দিন দিন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে বলে ভূক্তভূগীরা জানায়। অপরদিকে, জুয়াখেলা তথা জুয়ারিদের পাশাপাশি পাল্লা বেড়েছে এলাকার মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য। আগে গোপনে চোলাইমদ পান করে নীরবে প্রস্থান করতো গন্থব্যে। বর্তমানে রাস্তাঘাটে ও হাটবাজারে চোলাইমদ পান করে প্রকাশ্যে মাতলামি করতে দেখা যায়। বর্তমানে পৌর এলাকার এড়ালিয়া মুচিপাড়ায় চোলাইমদ উৎপাদন বন্ধ থাকলেও কাকাইলছেও সাহানগর মুচিপাড়া সহ তিনটি স্পটে চোলাইমদের চালান আসছে। অপরদিকে পুলিশী তৎপরতা না থাকায় পাঁচটি স্পট দিয়ে নিষিদ্ধ নেশার টেবলেট ইয়াবার চালান প্রবেশ করছে এলাকায়। চোলাইমদের পাশাপাশি নিষিদ্ধ নেশাদ্রব্য ইয়াবা বর্তমানে প্রকাশ্যে কেনাবেচা চলছে। অর্থাৎ কুচ পরোয়া নেহি। এভাবে মাদকদ্রব্য ও জুয়াখেলার অভয়ারোণ্য সৃষ্টি হলে, সামাজিক অবক্ষয় তথা এলাকায় চুরিচামারি সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশংখায় রয়েছে সচেতন এলাকাবাসী।
Leave a Reply