স্টাফ রিপোর্টার- আজমিরীগঞ্জের জলসুখায় দীর্ঘদিন ধরে, ফেসবুুকের ফেইক আইডি’র ছড়াছড়ি ছিল। ফেসবুুকের ফেইক আইডি’র পোস্টকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ২ ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শতাধিক আহত ও সংঘর্ঘ চলাকালীন সময়ে দু’টি ব্যবসা প্রতিষ্টান ভাংচুর করা হয়। আহতদের আশংখাজনক অবস্হায় উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। গুরুতর আহত একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
আজমিরীগঞ্জের ২নং জলসুখা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফয়েজ আহমেদ খেলু, মোঃ শাহানুর মিয়া সহ এলাকার বিভিন্ন লোকেদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে বিভ্রান্তিমূলক মানহানিকর পোস্ট করে আসছিল একই এলাকার একটি কুচক্রীমহল। এরই ধারাবাহিকতায়, বিগত ৩১ আগস্ট (শনিবার) দিবাগত রাতে শঙ্খমহল গ্রামের জনি মিয়ার চাচাতো ভাই সাগর মিয়া ও বাজার হাটির আলী নেওয়াজের পুত্র আশরাফুল মিয়া নাকি ফেসবুুক ফেইক আইডি চালায় বলে সন্দেহ হয়। বিষয়টি এলাকার শাহানুর মিয়ার লোকজনের নিকট প্রমাণ রয়েছে বলে জানান। অপরদিকে আলী নেওয়াজ মিয়ার পুত্রের সঠিক প্রমাণ না পাওয়ায় আশরাফুলের বিষয়টি রাতেই নিষ্পত্তি করা হয়। এদিকে অপরপক্ষও ফেসবুক ফেইক আইডি’র পোস্ট অস্বীকার করে, যা সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমেও সমাধান হয়নি।
উক্ত বিষয়টি নিয়ে গত ৩১ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যারাত থেকে ৯ টা পর্যন্ত দু’পক্ষের লোকজনের মাঝে হট্টগোল ও উত্তেজনা বিরাজ করে। যেকোন সময় সংঘর্ষের আশংখায় গোটা এলাকায় থমথমে অবস্হা বিরাজ করে। এ ঘটনার জের ধরে, পরদিন অর্থাৎ গতকাল রবিবার (১সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬ টায় জলসুখার শঙ্খমহল গ্রামের আওলাদ মিয়ার পুত্র জনি মিয়া (৩২) ও ইছবপুর গ্রামের রেজ্জাক উল্লাহ’র পুত্র শাহানুর মিয়া (৪৫)’র মধ্যে বাক-বিতন্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের স্বজনরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কমপক্ষে দুই ঘণ্টা ব্যাপি সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়। খবর পেয়ে পুুলিশ ঘটনাস্হলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের আশংখাজনক অবস্হায় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। এদিকে সংঘর্ঘ চলাকালীন সময়ে দু’টি ব্যবসা প্রতিষ্টান ভাংচুর করা হয়। গুরুতর আহত একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ডালিম আহমেদ বলেন, জলসুখায় মারামারি ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্হলে তড়িৎ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এনেছে। তবে এ পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply