স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কলেজের ইনচার্জ কল্পনা রানী ঘরামি, প্রশিক্ষক সালমা বেগম ও সম্পা রানী দাসসহ কলেজের অফিস সহকারী এবং উচ্চমান সহকারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাদের পদত্যাগ চেয়ে বুধবার বিকেলে কলেজের সামনে বিক্ষোভ করেন শত শত শিক্ষার্থী। ইনচার্জ ও প্রশিক্ষকসহ অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর ৪ হাজার ৪১০ টাকা কলেজে ভর্তি ফি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু হবিগঞ্জ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ভর্তি ফি নেওয়া হয়। দুই-তিনশ’ টাকা খরচের মেডিকেল টেস্ট বাবদ টাকা নেওয়া হচ্ছে দেড় হাজার। এ ছাড়া টাকা দিলেও অনেকের টেস্ট হয়নি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভর্তি ও মেডিকেল টেস্ট বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চারগুণ টাকা লুটে নেয় কলেজের ইনচার্জ, প্রশিক্ষক ও অফিস সহকারীদের নিয়ে গড়া চক্রটি। শিক্ষার্থীদের থেকে নেওয়া অতিরিক্ত টাকা উচ্চমান সহকারী মতিউর রহমান ও অফিস সহকারী সিরাজুল হক সুজন একত্র করে রাখেন। পরে টাকা ইনচার্জ, প্রশিক্ষক, উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারীদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে খাবারের যে পরিমাণ অর্থ তোলা হয়, সেখান থেকে প্রতি মাসে উদ্বৃত্ত ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরত না দিয়ে ইনচার্জ কল্পনা রানী ঘরামি আত্মসাৎ করেন। পাশাপাশি অভিযুক্তরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও মানসিক নির্যাতন করেন। যে কারণে বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
এদিকে গতকাল বুধবার বিকেলে আন্দোলনের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজ ইনচার্জ ও প্রশিক্ষকদের কোয়ার্টারের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বন্ধ করে দিয়েছেন। আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন– এবিএম আফফান, হাফিজা সুলতানা, জাহাঙ্গীর আলম, আকাশ মিয়া, হোসাইন তালুকদার, হিমু আক্তার, ইসরাত জাহান প্রমুখ
Leave a Reply