স্টাফ রিপোর্টার ॥ শহরের কিবরিয়া ব্রিজ এর উত্তর পার্শ্বে উমেদনগর এলাকার আলহাজ্ব জিকে মোশাহিদ এর মালিকানাধীন “মকসুদ-ফজিলা প্লাজা” মাকের্টের সামনে অবৈধভাবে ১২ ফুট উচু দেয়াল নির্মাণ অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারসহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত এজহার দায়ের করেছেন “মকসুদ-ফজিলা প্লাজা” মাকের্টের স্বত্ত্বাধিকারী জিকে মোশাহিদ। গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি এই অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হচ্ছেন- সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঠিকাদার রুয়েল আহমেদ, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সল, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, ঠিকাদার মিজানুর রহমান শামীম, বিভাগীয় হিসাব রক্ষক উত্তম কুমার বর্মন, ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট আব্দুল করিমগং ৭/৮ জন। এজহারে উল্লেখ করা হয়, তার পূর্ব পুরুষের ভূমি পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিগ্রহণ করে কিবরিয়া ব্রীজ সংলগ্ন খোয়াই নদীর বাঁধ নির্মাণ করে। বর্তমানে ব্রীজের অপর দিকে বাদীর ব্যক্তি মালিকানা বহুতল ভবন, মাকের্ট ও দোকানপাঠ রয়েছে। বাদী কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে সড়ক ও জনপদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সীমানা নির্ধারণ না করেই ঠিকাদার রুয়েল আহমেদসহ উল্লেখিত আসামীদের যোগসাজসে বাদীর মাকের্টের সামনে ১২ ফুট উচু দেয়াল নির্মাণ করে ফেলে। এতে মালিক ও মার্কেটের সকল ভাড়াটিয়াদের চলাচলের রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় মাকের্টটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে গত ১৯ মে মার্কেটের সামনে কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে বাদী জিকে মোশাহিদ একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ে যান। নির্বাহী প্রকৌশলীর রুমে প্রবেশের পর মামলায় উল্লেখিত আসামীদের তিনি সেখানে দেখতে পান। সেখানে আসামীদের সাথে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ঠিকাদার রুয়েল আহমেদ সহ অপরাপর আসামীগণ জিকে মোশাহিদকে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভূতি প্রদর্শন করেন। বাদী এজহারে বলেন, গত ১১ মাস তার মাকের্ট বন্ধ থাকায় ভাড়া বাবদ তার প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়। একই সাথে বিল্ডিংটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ায় প্রায় ৭ কোটি ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন বাদী জিকে মোশাহিদ।
এজহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামীদের সহযোগিতায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সল ব্রীজের প্রকল্পের কোন নাম, ঠিকাদারের নাম, প্রকল্প মেয়াদ, প্রকল্পের ব্যয় এবং সড়ক জনপথ এর নিয়ম অনুযায়ী কোন সাইন বোর্ড না দিয়েই অবৈধভাবে ঘুষ-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কিবরিয়া ব্রীজের নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
Leave a Reply