নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে ৯২ টি পূজার মন্ডপে বছর ঘুরে আবারো হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজার ব্যাপক প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ০৯ অক্টোবর বুধবার ষষ্টীবিহিত পুজার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে ৫ দিনব্যাপী বাঙ্গালী হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা। আনন্দময়ীর আগমনে ধনী-গরিব আবালবৃদ্ধ সকল পুজারী ও ভক্তবৃন্দের মাঝে যেন আনন্দের কমতি নেই কোন অংশেই। তবে দেশের চলমান পরিস্থিতি ও বিভিন্ন স্থানে পূজাকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত ঘটনার কারনে কিছুটা আতংক বিরাজ করছে। বাঙ্গালী হিন্দুদের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজার আগমনী সুর শুভ মহালয়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে সকলের মাঝে বিরাজ করছে। প্রতিটি পুজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পাদন করার জন্য দিনরাত নিরবিছিন্নভাবে কাজ করে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ করে রং তুলির আছড়ে সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিত্রশিল্পীরা। তারপর মন্ডপ সাজসজ্জার কাজ শেষ করলেই উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেন সবাই। তাই শারদীয় এ পুজাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকল পুজারী ও ভক্তবৃন্দের মাঝে বিপুল আনন্দ ও উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আনন্দ ও উৎসাহ উদ্দীপনা ঘাটতি নেই বিভিন্ন সংগঠন ও সামাজিক লোকজনের মাঝেও । শাস্ত্রমতে জানাযায়, এ বছর দেবী দোলায় আগমন করবেন ফল মড়ক দোলায়াং মরকং ভবেৎ এবং ঘোটকে গমন করবেন, ফল ছত্রভঙ্গ বসুন্ধরা। সমাজের সকল আসুরিক শক্তির বিনাশ সাধন করে সর্বত্র শান্তি স্থাপনের মুলমন্ত্রই হলো শারদীয় দুর্গাপুজার মুল উদ্দেশ্য। প্রত্যেক পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় এ বছর সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুলিশ ও আনসার বাহিনীর লোকের পাশাপাশি সেচ্ছাসেবকরাও প্রতিটি পুজামন্ডপে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া উপজেলায় ৯২ টি পুজামন্ডপের জন্য নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ১৩ টি মোবাইল টীম ও স্টাইকিং ফোর্সসহ সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে।
Leave a Reply