স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ ভদ্রতার মুখোস পড়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। সদর আসনের এমপি সহ গুটি কয়েক স্বার্থানেষী ব্যাক্তি ও কোন কোন সংবাদকর্মীকে বাকে নিয়ে কামাই করেছেন বিপুল পরিমান অর্থ। ধর্মের ছদ্ধাবরনে চালিয়েছেন অবাধ ঘুষ বানিজ্য। একাধিক সূত্রে প্রকাশ, প্রথমে তিনি হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। পরে বিভিন্ন কারিশমা করে জেলা শিক্ষা অফিসে সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার হিসাবে যোগদান করেন। ২০১৬ সালে তিনি হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদানের পরই তিনি জেলা শিক্ষা অফিসে প্রবেশের পথ খুঁজতে থাকেন। আলাদীনের চেরাগ তাঁর হাতের মুঠোয় ধরা দেয়। ২০১৮ সালে সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসারের পদ বাগিয়ে নেয়ার পর থেকেই উপরওয়ালাদের নজর কাড়তে সক্ষম হন। পরে ভারপ্রাপ্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা থেকে জেলা শিক্ষা অফিসার পদ পেতে বেগ পেতে হয়নি। বেসরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য চালান। কোন অভিযোগ দিয়েও এর প্রতিকার হয়নি। নিয়ম বহির্ভূত, অযোগ্য লোকদের তিনি নিয়োগ দিয়েছেন অবলীলায়। তিনি ধরা কে সরা ঞ্জান করে ২০১৯ সাল থেকে হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিস কে নিজের বসতবাড়ীতে রুপ দিয়েছেন। অফিসের ছাদে ছাদ বাগান করে তা প্রচার করে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন। কোন সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী একই কর্মস্থলে ৩ বছরের অধিক সময় বহাল থাকার বিধান না থাকলেও মোহাম্মদ রুহুল্লাহ ৯ বছর যাবৎ একই কর্মস্থলে অধিষ্টিত রয়েছেন। তাঁর হাত এতই প্রসারিত যে, তিনি বিভাগীয় অফিস থেকে প্রধান কার্যালয় সহ শিক্ষা মন্ত্রনালয় পর্যন্ত তাঁর হাত প্রসারিত। যে কারনে তিনি হবিগঞ্জে দায়িত্ব পালন করে এখন শতকোটি টাকার মালিক বনেগেছেন। তাঁর সাথে কথা বললে অনুমান করার কোন উপায় নেই যে, তিনি একজন ধূর্ত, ধান্ধাবাজ ও অর্থলিপ্সু এক দানব। শুধু ঘুষ বানিজ্যেই তাঁর বিচরন নয় শিক্ষা অধিদপ্তরে ডিডির পদ বাগিয়ে নিতে এখন ব্যাস্ত। সেখানেও তিনি তাঁর দুস্কর্মের হাফ ডজন কর্মকর্তার সাথে গড়ে তুলেছেন সখ্যতা। হয়ত বা অচিরেই সেই লক্ষেই পৌঁছে যাবেন দুর্নীতিবাজ, ঘুষ বানিজ্যের সওদাগর মোহাম্মদ রুহুল্লাহ।
Leave a Reply