মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ ঢাকার হাতিরঝিল থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় এবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মামলায় হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার বিএনপি নেতাকেও আসামি করা হয়েছে। আসামি মাধবপুর থানা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এখলাছুজ্জামান ভূইয়াকে চিনেন না বাদীও। এ ঘটনায় হতবাক মাধবপুর উপজেলার বিএনপি নেতারা। ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আসামি করায় ক্ষোভ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এখলাছুজ্জামান ভূইয়া। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে মাধবপুরের জগদীশপুর ইউনিয়ন কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা এখলাছুজ্জামান ভূইয়া বলেন, গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সাথে আমরা মাধবপুর উপজেলা বিএনপি একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলন করেছি। এর অনেক স্থিরচিত্র সহ লাইভ ভিডিও রয়েছে। অপরদিকে হাতিরঝিল থানায় জৈনিক এক ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলায় আমাকে জড়ানো হয়। এই সকল ষড়যন্ত্রের রহস্য উদঘাটন করে তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখার কারণে ১৬ বছরে জাকারিয়া নামের জগদীশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা একাধিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে আসামি করে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের হয়রানি করার কারণে ৫ই আগস্ট বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জাকারিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে। এরপর থেকে সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। ধারণা করছি, জাকারিয়াই হয়রানি করার জন্য মামলায় আমার নাম ঢুকিয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ওই নেতা আরও বলেন, আমরা বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা আমাদের বলেছেন এ বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।’
মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান হামদু বলেন, এখলাছুজ্জামান বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী। আমার তার জন্য প্রয়োজনে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রত্যয়নপত্র দিব।
এদিকে মামলার বাদী মোজারুল আসামি এখলাছুজ্জামান ভুইয়াকে চিনেন না বলে দাবি করেছেন।
হাতিরঝিল থানার ওসি মোহাম্মদ রাজু বলেন, মামলাটি কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। কোর্ট এফআইআরের নির্দেশ দিলে আমরা এফআইআর করি। বিষয়টি তদন্তাধীন।
Leave a Reply