নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ আজমিরীগঞ্জে রাতের আঁধারে কুশিয়ারার কালনী নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এলাকার একাধিক অসাধুচক্রের বিরুদ্ধে। এতে করে একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অপরদিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে জড়িত অসাধুচক্রের সদস্যরা। এছাড়া লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাধীন নৌ-টার্মিনালের অদূরে কুশিয়ারার কালনী নদীর তীরের সরকারের মালিকাধীন জায়গা থেকে রাতের আঁধারে লোকচক্ষুর আড়ালে মাটি কেটে বিক্রি করছে এলাকার কয়েকটি অসাধুচক্র। আবার সুযোগ বুঝে মাঝে মধ্যে দিনের বেলায়ও মাটি কেটে ট্রলি ভর্তি করে এলাকার নানা জায়গায় বিক্রি করছে। নিয়মানুযায়ী সরকারি জায়গা থেকে মাটি কেটে বিক্রি করার কোন বিধান নেই। তবে সরকারি জায়গা থেকে মাটি কাটতে সংশ্লিষ্ট ভূমি প্রশাসনের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। অনুমতি পাওয়ার পর উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জায়গা মাপ-ঝোঁক করে দেবে। পর প্রতি ফুট মাটির বিপরীতে রয়েলিটি পরিশোধ করতে হয়। এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এলাকার একাধিক অসাধুচক্র বেশ কিছুদিন পূর্বে চরবাজারের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পিছনে রাতের আঁধারে উল্লেখিত সরকারি জায়গা থেকে ট্রলি ভর্তি করে বসতভিটা নির্মাণ করতে দেখা গেছে। বর্তমানে ওই জায়গাসহ আরও কয়েকটি স্থানে মাটি বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সকালবেলা পৌরসভাধীন বাজার সংলগ্ন বিজয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে মাটি ভর্তি ট্রলি দিয়ে স্তূপ করে রাখছে মাটি। পরে ওই স্থান থেকে বিভিন্ন লোকেদের নিকট বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। শ্রমিক দিয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছে স্ব স্ব গন্তব্যে। প্রতিটি ট্রলি ভর্তি মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ৫০০ টাকায়। নদীর তীরের ফসলি জমি থেকে মাটি কাটায় জমির উর্বরতাসহ পরিবেশের স্বাভাবিক ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে।
Leave a Reply