আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হেমন্তের শেষ দিকে এসে দেশের অন্যান্য এলাকার মত জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারদিক। উত্তরের হিমেল বাতাসে রাতে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। ঘন কুয়াশার কারণে সকালে সড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১১ টায় আজমিরীগঞ্জে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দুপুরে কুয়াশা না থাকায় উঠেছিল ঝলমলে রোদ। এদিকে গতকাল রবিবার বিকেল থেকেই আজমিরীগঞ্জে বাড়তে থাকে শীত। রাত বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে কুয়াশার দাপট। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টিপটিপ বৃষ্টির মতো ঝড়ে কুয়াশা। আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার নৌ-টার্মিনাল এলাকায় গতকাল রবিবার সকালে কৃষিজমিতে কাজ করছিলেন এক কৃষক। তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা বাতাস ছিল। কিন্তু বাতাসের সঙ্গে রোদ ছিল। এ জন্য শীতটা কম মনে হয়েছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশায় ১০ হাত দূরেও কিছু দেখা যায়নি। কুয়াশার কারণে বেশি শীত লাগছে। এদিকে, সকাল সোয়া ৮টার দিকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশায় ভিজে গেছে পিচঢালা পথ। গাছের পাতা, ফসলের খেত আর ঘাসের ওপর থেকে ঝরছে শিশির বিন্দু। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল বেলা সড়কের যানবাহনগুলো চলেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। ঘন কুয়াশার মধ্যেই গায়ে শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছে কাজের সন্ধানে। কেউ সবজি খেতে সংগ্রহ করছেন সবজি, কেউ বা তা ভ্যানে করে বিক্রি করতে নিয়ে যাচ্ছেন বাজারে। আবার কেউবা হালচাষ করছেন কৃষিজমিতে।
কয়েক দিনের তুলানায় আজ আজমিরীগঞ্জে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে, এছাড়া ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারদিক। ঘন কুয়াশায় সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে আসতে না পারায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এ জন্য প্রায় সারা দিনই শীত অনুভূত হয়েছে। এখন থেকে তাপমাত্রা দিন দিন হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এই এলাকায় একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে আবহাওয়া সূত্রে জানা গেছে।
Leave a Reply