স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজমিরীগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা পরিবারের ফিসারির ভূমিসহ ভিটা দখলের চেষ্টায় ত্রাস সৃষ্টি করে হামলা ও লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা। গত শুক্রবার সকাল ১১টায় প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এলাকাবাসী হতভম্ব। ইতোমধ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে পলাশ চৌধুরী বাদী হয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার দায়ের পর তারা বিভিন্ন ফন্দি আটছে। এমনকি ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ওইদিন আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সৌলরী গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রেরত এলাকার চিহ্নিত মামলাবাজ হারুন মিয়া চৌধুরীর পুত্র আনিস চৌধুরীর হুকুমে ঘরদাইর গ্রামের শামসু মিয়ার পুত্র বখাটে এমায়ুন কবির, সৌলরী গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিনের পুত্র মধ্যপ্রাচ্য প্রেরত নানু মিয়া, ঘরদাইর গ্রামের ভূমিদস্যু আনু মিয়ার পুত্র শহিদ মিয়া, মৃত আফতাব উদ্দিনের পুত্র মুছা মিয়া, সৌলরী গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার পুত্র দাঙ্গাবাজ জাহাঙ্গীর মিয়াসহ আরো ১০/১২জন লোক দা, ফিকল, রড ও রামদা নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মরহুম মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরীর পুত্র মোঃ পলাশ চৌধুরীর মালিকানাধীন ফিসারী সংলগ্ন ভিটা দখল করতে অনধিকার প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় মৎস্য খামারের দায়িত্বরত পাহারাদারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফিসারীর মাছের খাবারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায় এবং ফিসারীর ঘর রামদা ও দা দিয়ে কুপিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে ঘরের চালের টিন খুলে নিয়ে যায়। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় প্রাণনাশক অস্ত্র উচিয়ে পলাশ চৌধুরী ও তার ভাইসহ তাদের নিজস্ব লোকদের হত্যার হুমকি দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জনমনে ভীতির সৃষ্টি করে। সন্ত্রাসীর তান্ডবে আশপাশের সাধারণ মানুষ আতংকিত হয়ে দ্বিগবেদিক ছোটাছুটি করে। হবিগঞ্জ শহরে বসবাসরত পলাশ চৌধুরী ও তার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাহারাদার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে আজমিরীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ঘরদাইর গ্রামের আনু মিয়ার পুত্র শহীদ মিয়াকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এর পূর্বে পলাশ চৌধুরীর বড় ভাই হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মোঃ ফরিয়াদসহ তার পরিবারের জায়গা জমি জোরপূর্বক দখল ও নানাভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রাণীর করার দায়ে ইতিমধ্যে বানিয়াচং সেনা ক্যাম্পে উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চৌধুরী মোঃ ফরিয়াদ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কোন কোন আসামী এই মর্মে মুচলেকা দেয় যে ভবিষ্যতে মিথ্যা বানোয়াট বা হয়রাণিমূলক কোন কর্মকান্ডে লিপ্ত হবে না এমনকি তাদের সহায় সম্পত্তি জবরদখল করার অপচেষ্টা করবে না। উক্ত মুচলেকা দেয়ার পরও ওইসব সন্ত্রাসীরা আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠে তাদের জমি জমায় অনধিকার প্রবেশের চেষ্টায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
Leave a Reply