স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুরে ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালুখেকো চক্র। উপজেলা প্রশাসনের উদাসীনতা ও একটি সিন্ডিকেটের কমিশন বাণিজ্যের কারণে অবৈধ বালুখেকোদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফলে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ লঙ্ঘন ও ভূমির শ্রেণি পরিবর্তনের অনুমোদন না নিয়ে ইজারাবিহীন চলছে বালুখেকোদের রমরমা ব্যবসা। এতে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। কোথাও ভেঙে যাচ্ছে নদীর পাড়, সরকারী সড়কসহ গ্রামীণ জনপদ। কোথাও তলিয়ে যাচ্ছে হতদরিদ্রদের বসতবাড়ি। প্রতিবাদ করলে করা হয় হামলা, হুমকি ও হয়রানি এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর। বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশের চরম বিপর্যয় ঘটছে। অন্যদিকে বালু পাচারের গাড়ির কারণে গ্রামীণ জনপথের রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গেছে। আর এই বালু সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা বিএনপি নেতা ও শাজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী। তিনি উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ বালুর ব্যবসা বীরদর্পে করে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, শাহজাহানপুর ইউনিয়নের তালাইম্মা চড়া, পরমানন্দপুর গ্রাম থেকে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মবহির্ভূত ব্যক্তি মালিকানার জায়গা থেকে অবৈধভাবে মাটি তুলছেন চেয়ারম্যান ও তার সংঘবদ্ধ চক্র। প্রায় ৪-৫ একর কৃষি জমিতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলন করে কৃষি জমির অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ছোট মিয়া, অলি মিয়া ও মিজান মিয়াদের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে ওই চক্র। জানা যায়, সুরমা মৌজায় তার বালুর লিজ থাকলেও সেটা শুধুমাত্র নদীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ব্যক্তি মালিকানার জমিতে লিজ অবৈধ হলেও শাহজাহানপুর ইউনিয়নের শিমনাছড়া, তেলিপাড়া চা বাগানের ভিতরেও ছড়া থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে এই চক্রটি। রাতের আধারে ট্রাক দিয়ে পরিবহন করে অন্যত্র বিক্রি করছে। কেউ এ নিয়ে কথা বললে পারভেজ বাহিনীর লোকজন হামলা চালায়। চেয়ারম্যান পারভেজ এলাকার অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
Leave a Reply