রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

পাকিস্তানি নাগরিক স্ত্রীর মামলায় স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

পাকিস্তানি নাগরিক স্ত্রীর মামলায় স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ পাকিস্তানি নাগরিক স্ত্রীর দায়ের করা এক মামলায় চুনারুঘাটের সাজ্জাদ হোসাইন মজুমদার ওরফে হীরার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গত সোমবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানার এ আদেশ জারি হয়। পাকিস্তানি তরুণী মাহা বাজোয়া মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এর ৬ (৫) ধারায় ২০২৩ সালে হিরার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
সম্প্রতি তার নামে সমন জারি হওয়ায় সোমবার আদালতে উপস্থিত থাকার কথা ছিল তার। কিন্তু হীরার অনুপস্থিতিতে তার পক্ষের ৫ জন আইনজীবী আদালতে শুনানিতে অংশ নেন।
মাহা বাজোয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শফিউল আলম আজাদ। শুনানি শেষে বিচারক হীরার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন। মাহা বাজোয়ার আইনজীবী শফিউল আলম আজাদ বলেন, ওই পাকিস্তানি তরুণী নিজের অধিকার ফিরে পেতে বাংলাদেশে এসে ৩টি মামলা দায়ের করেছেন। এর মধ্যে একটি মামলা বিচারাধীন এবং দুইটিতে হীরা ও তার আত্মীয়স্বজন ১৪ জন পলাতক। হীরা চুনারুঘাট পৌর এলাকার বড়াইল গ্রামের মৃত শফিউল্লা মজুমদারের ছেলে এবং দুবাইয়ে কাপড়ের ব্যবসায়ী মাহা বাজোয়া পাকিস্তানের লাহোরের গাজী রোডের পাঞ্জাব সোসাইটির বাসিন্দা মকসুদ আহমেদের মেয়ে। মাহা বাজোয়ার অভিযোগ, দুবাইয়ে একটি বিয়েতে তাদের দুজনের পরিচয় হয় এবং প্রেম হয়। দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০১৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি দেনমোহরে মাহাকে বিয়ে করেন হীরা। শর্ত থাকে হীরা মাহাকে তালাক দিতে চাইলে ২০ লাখ রুপি পরিশোধ করবেন এবং প্রতি মাসে আরও ৫০ হাজার রুপি ভরণপোষণ দেবেন। এদিকে বিয়ের পর ২০১৮ সালে মাহাকে বাংলাদেশ নিয়ে আসেন এবং পরবর্তীতে মাহা পাকিস্তান এবং হীরা দুবাই চলে যান। পরে স্ত্রীর সঙ্গে নানাভাবে প্রতারণা করেন হীরা। এদিকে ২০১৯ সালে দুবাইয়ে নাসির উদ্দিন সেলিম নামে এক ব্যক্তির গাড়ি চালকের চাকরি নেন হীরা। এর সুবাদে নাসির উদ্দিন সেলিমের স্ত্রী সোনিয়ার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে ওই নারীকেও বাংলাদেশে এনে বিয়ে করেন এবং সংসার করছেন তারা। সেলিমের স্ত্রী থাকাবস্থায় হীরাকে অবৈধভাবে বিয়ে করেছেন উল্লেখ করে সোনিয়াসহ ওই বিয়ের সঙ্গে জড়িত সবার বিচার চেয়েছেন পাকিস্তানি তরুণী মাহা বাজোয়া। এ মামলা দায়েরের আগে মাহা ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর স্বামীর খোঁজে চুনারুঘাটে আসেন। সেখানে স্বামী হীরার ভাইয়ের বাড়িতে তিনি অবস্থান নেন। পরে স্বামীর বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ আদালতে দুটি মামলা এবং চুনারুঘাট থানায় মারপিটের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com