সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন

আজমিরীগঞ্জে শিক্ষক-সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লোকবল না থাকায় কার্যক্রম ব্যাহত

আজমিরীগঞ্জে শিক্ষক-সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লোকবল না থাকায় কার্যক্রম ব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ভাটা পড়েছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নয়, জনবল সংকটের প্রভাব দৃশ্যমান উপজেলা শিক্ষা অফিসেও। যে কারণে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম তদারকি ও পর্যবেক্ষণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আজমিরীগঞ্জের পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় রয়েছে ৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষকের ৩৩৬টি এবং প্রধান শিক্ষকের পদ ৬৫টি। এর মাঝে কর্মরত আছেন ৩১৩ জন সহকারী শিক্ষক এবং ৪৬ জন প্রধান শিক্ষক। দুটি পদ মিলিয়ে ঘাটতি ৪৫ জন শিক্ষকের। এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে চারজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র একজন। এ ছাড়া হিসাব সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহায়কের পদগুলোও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। উপজেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়,পাঠদানের নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীরা হৈহুল্লোড় করছে। শ্রেণিকক্ষে নেই তাদের অনেকেই। এমন পরিস্থিতি নিয়ে নাখোশ অভিভাবকরা। অভিভাবক আব্দুল কাইয়ুম জানান, শিক্ষা অফিসে জনবল সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে পড়াশোনার তদারকি হচ্ছে না। আর শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে হচ্ছে না সঠিকভাবে পাঠদান। একে তো এই অফিসের সব কাজ চলে ধীরগতিতে, তার ওপর শিশুদের পাঠদানে এমন অবস্থা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। এ জন্য অনেকেই বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনে নিয়ে যান সন্তানদের। রাহিমুল ও মনিরুল মিয়া জানান, শিক্ষক কম থাকার কারণে পর্যাপ্ত ক্লাস হচ্ছে না। যে কারণে শিক্ষার্থীরা পাঠদান থেকে বঞ্চিত। অবসর পেয়ে তারা হইচই করে সময় কাটায়। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) হাসিবুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি পদে জনবল থাকলে প্রতি মাসে ৪০টিরও বেশি বিদ্যালয় পরিদর্শন করা যায়। জনবল সংকটের কারণে এখন ১৫টি বিদ্যালয়ের বেশি পরিদর্শন করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বিভিন্ন সভায় জনবল সংকটের তথ্য উত্থাপন করা হয়েছে। তার পরও জনবল নিয়োগ না হওয়ায় চারজনের কাজ একজন দিয়ে করানো হচ্ছে। এতে কর্মীদের অবমূল্যায়নের পাশাপাশি কাজের মান কমছে। শিক্ষক সংকটের কারণে এক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে প্রেষণে অন্য বিদ্যালয়ে নিয়ে পাঠদান করানো হয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে থাকতে হবে সারা বছর। এ নিয়ে অভিভাবক মহলের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com