স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর উন্নয়নের নামে প্রায় ২২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। প্রথম দফার দরপত্র অনৈতিকভাবে বাতিল করে লুটপাট করতে উচ্চমূল্যে দ্বিতীয় দফায় দরপত্রের অনুমোদন দেয় তৎকালীন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা। এ ঘটনায় শেখ হাসিনা-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ ৫ জনকে আসামি করে আগামী সপ্তাহে মামলা করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০২২ সালে যশোর, সৈয়দপুর ও রাজশাহীর বিমানবন্দরের রানওয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ৫৪৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকার দরপত্র অনুমোদন করা হয়। কিন্তু খোঁড়া অজুহাতে দরপত্র বাতিল করে দ্বিতীয় দফায় ২০২৩ সালে ৭৭২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার অনুমোদন দেয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। দুদকের দাবি, লুটপাট করতেই আগের দরপত্রের কার্যাদেশের ভিত্তিতে কাজ না করে নতুন শিডিউলে প্রায় ২২৭ কোটি বেশি মূল্য নির্ধারণ করে দরপত্রের অনুমোদন করানো হয়। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সচিব মোকাম্মেল হোসেনসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা করতে যাচ্ছে দুদক। দুদক চেয়ারম্যান ড. মো. আবদুল মোমেন জানান, বিগত সরকারের সময় বিমানবন্দরে দুর্নীতির ঘটনায় আরও বেশ কিছু অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। গেল জানুয়ারিতে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় ৯০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকীসহ ১৯ জনকে আসামি করে চারটি মামলা করে দুদক।
Leave a Reply