নিজস্ব প্রতিনিধি: আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও চৌধুরীবাজার থেকে রসুলপুরগামী রাস্তাটি আগামী বর্ষা মৌসুমে চরম দূর্ভোগ ও ভূগান্তির আশংখায় রয়েছে এলাকাবাসী। ওই রাস্তা দিয়ে বানিয়াচংয়ের পৈলারকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, কিশোরগঞ্জের মিটামইনের আব্দুল্লাপুর ইউনিয়ের বাহেরচর, বিরামচর ও কাকাইলছেওয়ের রসুলপুর গ্রামের চাকুরিজীবি, শিক্ষার্থী সহ সাধারণ লোকজন যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হিমলিপ প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই সড়কটি ২০২০ ও ২০২২ সালে দুই দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পরবর্তীতে ওই রাস্তাটিতে কোনো ধরনের সংস্কারকাজ করা হয়নি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২ হাজার ১শ মিটার দীর্ঘ ওই জেসিসি সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু পরবর্তীতে দুই দফা অকাল বন্যা আঘাত হানলে, ওই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে খানা-খন্দকে পরিণত হয়েছে। রাস্তার পাশে নির্মিত সুরক্ষা দেয়ালও বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া ঢালাইকৃত রাস্তার উভয়দিকে ভেঙে রাস্তাটি সরু ও সংকুচিত হয়ে গেছে। এতে করে ওই রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীবাহী টমটম ও মালবাহী ট্রলি সহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহণ প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। রসুলপুর গ্রামের হোসেন মিয়া জানায়, শুকনা মৌসুমে তো কোন রকমে আসা-যাওয়া করছি। তবে বর্ষা মৌসুমে যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর হবে। ছিদ্দিক মিয়া জানায়, কাকাইলছেও চৌধুরীবাজার থেকে টমটম দিয়ে হেলেদুলে আসতে হয়। কখন যে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে দূর্ঘটনায় পড়ি তা আল্লাহ-ই বলতে পারেন। মোঃ শহীদ মিয়া নামে এক কৃষক বলেন,
ভাঙা রাস্তার কারনে প্রতি মন ধান ৫০ টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে। টমটম চালক সোহেল বলেন, ওই রাস্তায় দু’টি যাত্রীবাহী টমটম একসাথে অতিক্রম করা যায় না।এ ছাড়া রাস্তার খানা-খন্দকে পড়ে প্রচন্ড ঝাঁকুনি হয়। এতে যাত্রী সাধারণের বিশেষকরে যুবতী, নারী শিশু ও বৃদ্ধ লোকেদের চরম দূর্ভোগ ও ভূগান্তির শিকার হতে হয়। তাই রাস্তাটি অচিরেই সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।
Leave a Reply