শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শ্রীমঙ্গলের আনারস যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তদবীরে পার পেয়ে যাবার অভিযোগ ধরা ছোঁয়ার বাহিরে লাখাইর যুবলীগ নেতা নোমান বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গরু মৃত্যুর ঘটনায় কৃষককে ১ লাখ টাকা সহায়তা দিল পল্লী বিদ্যুৎ পৃথক অভিযানে ১২ লাখ টাকার চোরাইপণ্যসহ ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বিজিবি লাখাইয়ে পৃথক অভিযানে খুনের মামলার আসামী সহ গ্রেফতার ৩ মাচায় গ্রীষ্মকালীন নানা রঙের তরমুজ চাষে কৃষক আবারও বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জনকে পুশইন করল বিএসএফ হবিগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ মেলার উদ্বোধন বাহুবলের মহাশয় বাজারে দুঃসাহসিক চুরি ॥ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা নবীগঞ্জের চেয়ারম্যান রানাকে সিলেটে ‘গণপিটুনি’ পুলিশে দিল জনতা
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের আশাতীত আনাগোনা বাড়ছে

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের আশাতীত আনাগোনা বাড়ছে

মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ মাধবপুর ও চুনারুঘাট মধ্যবর্তী সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে আশাতিত। এ উদ্যানে প্রতিদিন ভ্রমন পিপাসু হাজারো মানুষের পদচারনা ঘটে। প্রতিনিয়ত পর্যটকদের ভিড়ে পাহাড়ি এই জনপদ সরগরম হয়ে উঠে। ২০০৫ সালে সাতছড়ি বনের ২৪৩ হেক্টর বনভূমিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। সাত ছড়ার সমন্বয়ে গঠিত বলে সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক বনকে সাতছড়ি বলা হয়। এ বনটি একটি সমৃদ্ধ বন হিসেবে পরিচিত। এই বনে চিত্রা উড়ন্ত টিকটিকি, মুখপোড়া হনুমান, উল্টোলেজি বানর, কালো ভালুক, উদয়ী পাকড়া বন্যকুকুর, মায়া হরিণ, এশিয়াটিক কালো ভালুক, মেছোবাঘসহ ২১ প্রজাতির উভচর প্রাণীর বসবাস। এ বনাঞ্চলে ৫০ প্রজাতির সরীসৃপ, ২০৩ প্রজাতির পাখি রয়েছে ও ২৪ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বনে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী ও সাপ অবমুক্ত করায় বনে এখন জীবের সংখ্যা বেড়েছে। মাধবপুরে পরিবেশবাদী এনজিও সংস্থা বাসার চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমান জানান, প্রাকৃতিক বনকে ধ্বংস করে পশুপাখির জন্য বনে লাগানো হয় ফলদ বাগান। বিদেশি অর্থ সহায়তায় টেকসই বন ও জীবিকা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বনের ভেতর ফলের গাছ রোপণ করা হয়। কিন্তু সঠিক পরিচর্যা ও অবহেলায় ফলদ বাগান প্রকল্প তেমন সফল হয়নি।
বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও রেঞ্জ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, বনের ভেতর লোকজন যত কম যাবে, তাতে পরিবেশ নীরব থাকবে। এতে বন তত সমৃদ্ধ হবে। বনের ভেতর বসবাসকারী জীববৈচিত্র নিরাপদে বেড়ে উঠার পরিবেশ পাবে। কিন্তু হয়েছে উল্টো। অপরিকল্পিতভাবে বন এলাকায় টিকিট কেটে দর্শনার্থী প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ায় বনের ক্ষতি হচ্ছে। তারা বলেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নেন সে নির্দেশনামতো কাজ করতে হয়। জাতীয় উদ্যান ঘোষণার কারণে সাতছড়ির প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় বনরক্ষীরা সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, পর্যটন মৌসুমে বিশেষত শীত ও বসন্ত ঋতুতে সাতছড়িতে মানুষের ভিড় খুব বেড়ে যায়। মানুষ বেশি আসার কারণে বনের জীববৈচিত্র ধরে রাখা এখন কঠিন। মানুষের প্রবেশ কীভাবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায় এ বিষয়ে চিন্তা করছে বন বিভাগ। কারণ, দিন দিন বনে যে হারে পর্যটকের প্রবেশ বাড়ছে, এটা বনের জন্য অশনি সংকেত বলে তিনি মনে করেন।
মৌলভীবাজার প্রকৃতি সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সাতছড়ি বন বাংলাদেশের মধ্যে চিরহরিৎ সমৃদ্ধ বন। এ বনের জীববৈচিত্র অত্যন্ত মূল্যবান। তাই সাতছড়ি বনকে সমৃদ্ধ করতে বন বিভাগ খুবই আন্তরিক।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2024 DailyBijoyerProtiddhoni
Design & Developed BY ThemesBazar.Com