আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার ধুম।এবার মাটিকোরদের চোখ পড়েছে উপজেলার শুকনো নদীর উপর। কোথাও দিনে আবার কোথাও রাতে। মাটি কাটার এই মহোৎসবে মেতেছেন মাটি খেকোরের দল। অনুসন্ধানে জানা গেছে, অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনকারীরা স্থানীয় প্রভাব কাটিয়ে এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নদীতে ভেকু দিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে আসছে। ক্রমাগত মাটি কাটার ফলে আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে আশেপাশের ফসলি জমিগুলো। এছাড়াও মাটি বহন করা ট্রাকের চাকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। বৃষ্টির মৌসুম হলেই দুর্ভোগের আশঙ্কা এলাকাবাসীর। এতেই থেমে থাকেনি মাটি খেকোদের দল এবার চোখ পড়েছে উপজেলা শুকনো নদীর উপর। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ভিতর দিয়ে বয়ে গেছে কুশিয়ারা নদীর উপ শাখা নদী টি খননের অভাবে শুকিয়ে যাওয়ায়, মাটি খেকোরা বেপরোয়া হয়ে নদী থেকে অবাধে মাটি তুলে হচ্ছে। নদী থেকে প্রভাবশালীরা অবাধে কেটে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার মূল্যের মাটি। প্রতিদিন ডায়না গাড়ি করে মাটি বিক্রি করে তারা বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নে চৌধুরী হাঁটির পাশে কুশিয়ারা নদীর থেকে মাটিখেকোরা অবাধে মাটি নিয়ে বিক্রি করছে। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিবিড় রঞ্জন তালুকদার এর সঙ্গে মুঠোফোন আলাপ করলে তিনি জানান উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ফসলি জমি কাটার কথা শুনলে এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও এবং তহসিলদারের মাধ্যমে কাজ গুলি বন্ধ করার চেষ্টা করি। জলসুখা নদী থেকে মাটি নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে লোক পঠিয়ে মাটি নেয়া বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply