স্টাফ রিপোর্টার।। নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের খড়িয়াগ্রামসহ এলাকাবাসীর উদ্যোগে ক্ষিলিশ হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। গতকাল শনিবার (১৪ জুন) বিকাল ৫ ঘটিকায় খড়িয়া গ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। নিহতের স্বজনসহ এলাকার কয়েকশ’ নারী-পুরুষ এতে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কানাই লাল সরকার, হরি সরকার, অমর চাঁন, প্রমোদ সরকার, কানাই লাল, অরিবিন্দু সরকার, রাসমোহন সরকার, সদান্দ সরকার, বাবলু সরকার, বারিন্ড সরকার, অতুল সরকার, নিপিন্ড সরকার, গির্জা সরকার, নিখিল সরকার, হিতেন্দ সরকার, চোরামনি সরকার, গিনাই সরকার, লিটন সরকার, বজলাল সরকার, গোরচাঁন সরকার, শোষেন সরকার, বলরাম সরকার, দীনেশ সরকার, দরশন সরকার, নিদু সরকার, আশারাণী সরকার, শেখালী রাণী সরকার, রত্না সরকার, অঞ্জলতা সরকার, লক্ষী সরকার, রিমা সরকার, সুতিষ্না সরকার, সবিতা রাণী সরকার, সুমুরতা সরকার, কুশিলা রাণী সরকার, সুনতি রাণী সরকার, লিমা সরকার,
রাজু সরকার, প্রনজিৎ সরকার, নান্টু সরকার, জান্টু সরকার, রনজিৎ, প্রসেন সরকার, রুবেল, পলাশ, সাগর সরকার, ব্রীরেন্ড সরকার, রিংকু সরকার, নিপেশ, ভুবন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহতের স্ত্রী ও স্বজনরাসহ স্থানীয় এলাকাবাসীরা। এসময় বক্তারা বলেন, তারা আমাদের জীবনকে নরক বানিয়ে দিয়েছে। আজকে একজনকে হত্যা করেছে কালকে আরেকজনকে হত্যা করতে তারা দ্বিধাবোধ করবে না। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।হত্যায় জড়িত আসামিদের ফাঁসি চাই।
উল্লেখ্য (০২ জুন) সোমবার নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে সম্প্রতি সবুজ সরকার নামের এক ব্যক্তির দোকান থেকে কয়েকটি খুইচ্ছা মারার যন্ত্র চুরি হয়। এ চুরির ঘটনার সাথে ক্ষিলিশ জড়িত থাকতে পারে সন্দেহে প্রতিপক্ষের লোকজন সোমবার দিবাগত গভীর রাতে খিলিশকে তার ঘর থেকে ডেকে নিয়ে একই গ্রামের মতিলালের বাড়ির পিছনে গিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ক্ষিলিশের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩ জন কে আটক করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তৃতারা বলেন, ক্ষিলিশ হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনো আসামিদের গ্রেপ্তার করেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। ক্ষিলিশের পরিবার মামলার আসামী মোহনমনি, কর্নমনি, চন্দ্রমনি, প্রাণকৃষ্ণ, শুধাম, মতিলালে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান। তারা হুশিয়ারি করে বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তবে তারা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।
এ ঘটনায় নিহত ক্ষিলিশের ভাই বাদী হয়ে এজহারভুক্ত ৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে ক্ষিলিশ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
Leave a Reply